অবতক খবর,২০ জুন,মলয় দে নদীয়া :-গতবার ১৩ ই অক্টোবর ২০২৩ নদীয়ার শান্তিপুর বাগআঁচড়া পঞ্চায়েতের চরপানপারা এলাকায় কচুরিপানায় বন্ধ পারাপারের একমাত্র জল পথ,

স্কুল ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ রোগী সহ ৩০ জন নৌকা সহ আটকে থাকে দীর্ঘ ১০ ঘন্টা ! সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই আর্তনাদের কাহিনী মনে পড়ে?
মনে আছে তো! যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে গেছিলো রাজ্য প্রশাসনিক মহলে। জেলা থেকে রাজ্য বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়েছিলেন। সে বীভৎস ভয়ংকর দিন আজও বিভীষিকা হয়ে রয়েছে দুপারের মানুষজনের চোখে মুখে। বর্ষা আসলেই দুচোখে ঘুম আসেনা অতীতের সেই ভয়ানক পরিস্থিতির কথা ভেবে।

তবে এবার সুফল পেতে চলেছেন তারা। তখনই সাধারণ মানুষ যেমন স্থানীয় পঞ্চায়েত বিডিও বিধায়ক দের জানিয়েছিলেন তেমনই দলীয় অথবা প্রশাসনিকভাবেও উচ্চ মহলে জানিয়েছিলেন ফোন করে। আর সেই প্রচেষ্টার সুফল মিলেছে এবছর। বিগত প্রায় সাত দিন ধরে শুরু হয়েছে কচুরিপানা ডাঙ্গায় তুলে তা লবণ এবং ওষুধ দিয়ে শুকিয়ে সম্পূর্ণভাবে নিধন করার কাজ।
হবে এই কাজে খুশি দুপারের হাজার হাজার এলাকাবাসী।

তবে কচুরিপানা পরিষ্কারের এই বিষয়ে সেচ দপ্তর থেকে বরাত পাওয়া ঠিকাদার জানান প্রতিদিন প্রয়োজন ভিত্তিক 30 থেকে 40 জন শ্রমিক কাজ করছেন নিয়মিত তবে অত্যাধিক গরমের কারণে তারা বেছে নিয়েছেন সকাল ছটা থেকে দুপুর 1 টা পর্যন্ত সময়। আরো দিন সাথে কাজ করলে সম্পূর্ণ কচুরিপানা মুক্ত হবে এই ছারি গঙ্গা ।

শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ডঃ ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন সেই সময় সেচ দপ্তর সহ বেশকিছু দপ্তরে মানুষের এই সমস্যা নিয়ে চিঠিপত্র করা হয়েছিলো। কচুরিপানা জন্মানোর এই সময় উপযুক্ত হিসাবে কাজ শুরু হয়েছে। তবে বাঁশের কিংবা লোহার সেতুর ব্যাপারে এলাকার মানুষজন যদি দাবি করেন সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে আবেদন রাখা যেতে পারে।