অবতক খবর,২৩ নভেম্বর,বাঁকুড়া:- বালুচরী ৷ নামের মধ্যেই রয়েছে আভিজাত্য ৷ প্রতিটি শাড়ি যেন কথা বলে ৷ প্রতিটি সুতোর টানে যেন নিজস্ব একটা কথন আছে ৷ কোথাও ফুটে উঠেছে টেরাকোটার কারুকাজ ৷ কোথাও মহাভারতের গল্প ৷ কোথাও আবার আদিবাসী নৃত্য ৷বাঙালির শাড়ির সম্ভারে বছরের পর বছর ধরে স্বমহিমায় বিরাজমান বালুচরী ৷ নবাবী এই শাড়িগুলি কোনওটি তৈরি করতে সময় লাগে এক মাস ৷ কোনওটি আবার পনেরো দিন । এক একটা শাড়ির দাম 6 হাজার টাকা থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা ৷
কিন্তু এই অতিমারী পরিস্থিতিতে থমকে গিয়েছিল মন্দিরনগরীতে পর্যটকের আনাগোনা যার জেরে ভাটা পড়েছিল বালুচরীর বাজারে।নবাবী এই শাড়ীর বিক্রিবাটা অনেকটাই কমে গেছিলো ফলে সমস্যায় পড়েছিল শিল্পীরা,মুনাফার মুখ দেখতেই পাচ্ছিলো না।এই পরিস্থিতির মধ্যে শিল্প সৃষ্টির আগ্রহ অনেকটাই কমে যাচ্ছিলো। অবশেষে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন এবং বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারে তন্তুজ সংস্থা বিষ্ণুপুর শহরে এসে বালুচরী শাড়ী ক্রয় শুরু করলো যার ফলে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পাবে শিল্পীরা এই আশা করা যাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ শিল্পীরা তন্তুজের কাছে অনুরোধ জানায় যে একবারে না এসে অনেকটা অংকের টাকার শাড়ী ক্রয় না করে তন্তুজ সংস্থা যদি প্রতি তিন মাস বা চার মাস অন্তর অন্তর আসে তবে আরো ভালো লাভের মুখ দেখবে শিল্পীরা।
তন্তুজ সংস্থার OSD সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান এদিন বিষ্ণুপুরের 66 জন শিল্পীর কাছ থেকে মোট 360 টি বালুচুরি শাড়ি ক্রয় করা হয়, মোট 22 লক্ষ 13 হাজার টাকার শাড়ি ক্রয় করেন তারা ।
ইতিমধ্যেই মল্লগড়ের এই বালুচরী সরকারী তত্বাবধানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে, চাহিদাও আছে বর্তমান বাজারে। এই নবাবী শাড়ির ব্যাপ্তি যদি যাতে আরো সুদীর্ঘ হয় এই আশায় বুক বাঁধছেন শিল্পীরা।