অবতক খবর,১৮ ফেব্রুয়ারি : সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে, আইনকে ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে হচ্ছিল ১৬ বছর বয়সি এক মেয়ের বিয়ে! আর সেই খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কন্যাশ্রী ক্লাব! নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে দেয় গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠ এর কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রশাসনিক সভা থেকে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তারপরেও সাধারণ মানুষ সেই নির্দেশ না মেনেই ১৮ বছরের আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন চুপিসারে।
শুক্রবার রাত সাড়ে আট-টা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের চার নম্বর গোলার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মপুর গ্রামে শেখ মতিবুল আলী তার মেয়েকে ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে দেওয়া হচ্ছিলো মুখবাসন গ্রামে। আর সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কন্যাশ্রী ক্লাব। খবর দেওয়া হয় কেশপুর থানা ও বিডি অফিসে। কেশপুর এর জয়েন্ট বিডিওর নেতৃত্বে কেশপুর থানার পুলিশ সহ একটি টিম পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই কন্যাশ্রী ক্লাব তাদের সহপাঠীর বিয়ে আটকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মুচলেখা নেওয়া হয় যাতে ১৮ বছর হওয়ার আগে কোনোভাবেই মেয়ের বিয়ে দিতে তারা না পাড়েন।
প্রথমে পরিবার মানতে না চাইলেও শেষে কার্যত স্বীকার করে নেয় যে তারা লুকিয়েই মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে বার-বার মানুষকে সচেতন করার পরেও কিভাবে এই ধরনের কাজ হয়। তবে গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাব বার-বার রুখে দিয়েছে নাবালিকার বিয়ে। এলাকার সকলের কাছেই এই কন্যাশ্রী ক্লাবের প্রশংসা শোনা গেছে।