হে প্রজন্ম প্রিয়, ক্ষমা করে দিও। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সংগ্রামরত প্রিয় প্রজন্মের কাছে আমি আজ নতজানু।

মেধাসম্পন্ন যোগ্য প্রজন্মকে চাকরি থেকে বঞ্চনার প্রতিবাদে স্বাধীন ভারতবর্ষে এক ঐতিহাসিক সংগ্রাম চলছে কলকাতার বুকে। এই সংগ্রামের ৫০০-তম দিন আর অতিক্রম করল আজ। গান্ধী মূর্তির পাদদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রশাসনিক চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে সবুজের অভিযান চলছে। দিল্লীর ঐতিহাসিক কৃষক সংগ্রামকে অতিক্রম করেছে নতুন প্রজন্মের এই সংগ্রাম।

পাঁচশতম দিন
তমাল সাহা

১)
যৌবন থেকে পাঁচশ দিন চলে গেল
দশ বছর চলে গিয়েছে তারও আগে
এখনো বসে আছি পথে
কবে রশিতে পড়বে টান উল্টোরথে?

২)
উত্তরে ও দক্ষিণে মুদ্রা গণনা চলে
এসবই চাকরি বিক্রির টাকা।
কাউন্টিং মেশিন দ্রুত বেগে চলে
অঙ্ক রেস–কে আগে কে পিছে
যেন তার প্রতিযোগিতা!

মধ্যে ঝরে চোখের জল
তুমি আমি আছি বেশ।
টিভিতে দেখি অবৈধ প্রণয়ের সন্দেশ!
কবে কারা লিখবে জয়ের কবিতা
কেউ কি জানে তা?

৩)
কেউ কি শুনেছে কোনদিনও
জনশাসক শিক্ষাকে করে পণ্য?
প্রজন্মের রক্ত শুষে খায়
অর্থমূল্যে চাকরি দেয় বেচে?

প্রবাদ হয় সত্যে পরিণত—
শাসকই শোষক
কেউ খায় কই, কেউ মরে বিল সেচে!

৪)
গান্ধী মূর্তির পাদদেশে
পাঁচশো দিন চলে যায়,ওই কারা কেন বসে!
গান্ধীজী দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে
তার শিরদাঁড়াও গেল বুঝি বেঁকে!
চোখের জল গড়াতে গড়াতে
হুগলি নদীতে গিয়ে মেশে।
অবস্থানে প্রজন্ম তোমার
ফুঁসছে ক্রোধে পাথর চাপা বুকে।