অবতক খবর,৯ ফেব্রুয়ারিঃ পাট কাঠি নিয়ে বিবাদ, যার জেরে প্রাণ গেলো এক গৃহবধূর। কাকী শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের।

সামান্য পাট কাঠি নিয়ে বিবাদ, যার জেরে প্রাণ গেলো এক গৃহ বধূর। গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠলো কাকী শাশুড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো মালদার চাঁচল থানার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশমায় এলাকায়। মৃতার কাকী শাশুড়ির বিরুদ্ধে চাঁচোল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত গৃহবধূর পরিবার।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম বন্দনা নুনিয়া ( ২৪) বাড়ি মালদ্বয়ের চাঁচল থানার মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুষমাই এলাকায়। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দিন দুপুরে, মৃত গৃহবধুর তিন বছরের ছেলে বাড়ির পাশে পাট কাঠি নিয়ে খেলা করছিল। মৃত গৃহবধু বন্দনা ননিয়ার কাকী শাশুড়ির বেড়ায় দেওয়া পাট কাঠি মৃতার তিন বছরের পুত্র সন্তান খেলার ছলে ভেঙে ফেলেন। এরপরই অভিযুক্ত কাকী শাশুড়ি অর্চনা নুনিয়া মৃত গৃহবধূ বন্দনা নুনিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পাশাপাশি ব্যাপক মারধর করেন। শুধু মারধর করে ক্ষান্ত হাননি তিনি, এরপর মৃত গৃহবধু কে টানতে টানতে বাড়ির ভিতরে এনে তাকে শ্বাস রোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ।মৃতার শাশুড়ি, বাড়ির বারান্দায় মৃত বধূর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে তাকে তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে চাঁচোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপরই হাসপাতালের HDU বিভাগে তিন দিন ধরে চলে তার চিকিৎসা। কিন্তু আশঙ্কা জনক অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় বছর চব্বিশের গৃহবধূ বন্দনা নুনিয়ার। মেয়ের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃতার মা সহ বাপের আত্মীয়-স্বজন। মৃত গৃহবধূর কাকী শাশুড়ি অর্চনা নুনিয়ার বিরুদ্ধে চাঁচোল থানায় খুনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা। ঘটনার খবর পেয়ে চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছায় চাচলে ১ নং ব্লকের বিডিও সমিরন ভট্টাচার্য। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় চাঁচোল থানার পুলিশ।

এ বিষয়ে মৃতার মা বলেন টুকুন মুনিয়া অভিযোগ করে বলেন, ৬ বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ের তিন বছরের একটি পুত্র এবং দু মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।আমার নাতি পাটকাঠি নিয়ে খেলছিল। কয়েকটা পাট কাঠির জন্য আমার মেয়েকে খুন হতে হলো। আমার মেয়েকে খুন করেছে ওর কাকি শাশুড়ি অর্চনা নুনিয়া। আমি এ নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের কাছে আমি দোষীর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।