অবতক খবর,২১ মার্চ: সাত বছরের শিশুকে বস্তাবন্দি করে পুকুরে ফেলে নিশংস ভাবে খুনের ঘটনায় আজ সকাল বেলায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা সাধুখাঁ পাড়া এলাকায়। মৃত শিশুর নাম রাকেশ কাহার(৭)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৮ তারিখ সকালে স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে যায় ওই শিশু।
তারপর থেকে রাকেশ বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে না পেয়ে দেগঙ্গা থানায় নিখোজ অভিযোগ দায়ের করে। ১৩ দিনের মাথায় বেড়াচাঁপা চন্দ্রকেতু গড় এর পিছনে একটি পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দী মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ওই শিশুটির। এলাকার কয়েকজন আম গাছে স্প্রে করতে গিয়ে পুকুরের মধ্যে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুর মৃতদেহ দেখতে পাই। এরপর তাঁর পরিবারের খবর যায় তার মা ছুটে এসে শনাক্ত করে রাকেশের মৃতদেহ।
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এদিকে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে হবে এই দাবি নিয়ে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। মৃত শিশুর বাবার স্বপন কাহারের অভিযোগ প্রতিবেশী হারান পাঁড়ুই নামে এক স্কুলের শিক্ষকের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে জমি নিয়েছিলেন। তিনি ভ্যান চালিয়ে খান। খুব কষ্ট করে ওই শিক্ষকের কাছ থেকে জমি নেওয়ার পরে সেই জমি তিনি পাননি। এরপরে জমির টাকা ফেরত চাইতে গেলে অভিযুক্ত হারান পাঁড়ুই এই শিশুর বাবাকে প্রায় হুমকি দিত। অবশেষে আজ সকালে সাত বছরের ছেলে রাকেশ কাহারের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে এবং অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক হারানো পরী নিশংস ভাবে এই শিশুকে খুন করেছে গোটা ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে দেগঙ্গা থানার পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হারানো পাড়ুঁই ও তার ছেলে প্রীতম পাড়ুইকে গ্রেপ্তার জন্য করেছে।