অবতক খবর, নৈহাটি :: সকাল থেকেই দলীয় অফিস দখল ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে রইল নৈহাটির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালাপাড়া । লোকসভা ভোটের পর এই দলীয় অফিস তৃণমূলের থেকে বিজেপির দখলে চলে গিয়েছিল। কিন্তু ভাটপাড়া পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসতেই রাজ্যের শাসক দল দলীয় অফিস পুনরুদ্ধারের কাজে নেমে পরে ।
আর এই পুনরুদ্ধার অভিযানের অভিঘাতেই নৈহাটির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালাপাড়া দলীয় অফিস পুনরুদ্ধার অভিযানে নেমে তৃণমূল সকালেই বিজেপির এই দলীয় অফিসে দখল নেয়। তারা বিজেপি পার্টি অফিসের গেরুয়া রং মুছে সাদা রং করে দেয় ও তাতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
পার্টি অফিস দখলের খবর পেয়ে সকাল ১১টা নাগাদ ছুটে যান বিজেপি নেতা গনেশ দাস। তারা সাদা রং পুনরায় পাল্টে গেরুয়া রং করতে শুরু করে দেয় ও তাদের পার্টি অফিস পুনরায় দখল নিয়ে নেয়। যতক্ষণ গনেশ দাস ছিলেন কোনো তৃণমূলীরা যাওয়ার সাহস দেখতে পারেননি। তারা দুপুরে খেতে চলে গেলে পার্টি অফিসের ওপর চড়াও হন তৃণমূলীরা। তারা প্রথমেই তালা ভেঙ্গে ফেলেন। খবর পেয়ে ছুটে যায় অবতাক খবর ডট কাম এর মহিলা সাংবাদিক রেশমি দাস।
তৃণমূলী গুন্ডারা ও একঝাঁক মহিলারা আমাদের মহিলা সাংবাদিকের মোবাইল ক্যামেরা জোর করে কেড়ে নেন ও সমস্ত ছবি মুঁছে ফেলেন। আক্রান্ত হন তিনি। সবটাই নৈহাটী পুলিশের সামনেই চলতে থাকে। তাকে ঘিরে ধরেন বহু মহিলারা। রেশমিকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়েএ দেওয়া হয়।আর এর ফাকেই বিজেপি পার্টি অফিস ভাংচুর করে একেবারে ধূলিসাৎ করে দেয়া হয়। অবতাক খবরের দ্বিতীয় টিম যখন 40 মিনিটের পর পৌঁছায় ততক্ষণে পার্টি অফিস ভেঙে চুরমার করে দেয়া হয়।
অবতক সাংবাদিক রেশমি দাস কে নিয়ে আমরা পুনরায় ঘটনাস্থলে যাই ও খবর সম্প্রচার করি। স্থানীয় মহিলারা জানান যে অস্ত্র নিয়ে তৃণমূলী গুন্ডারা তাদের ঘরে ঘরে মারার হুমকি দিচ্ছেন।তারাই এই আজ বিজেপি পার্টি অফিস সকালে দখল করে সাদা রং করে ছিল আর দুপুরে আসে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে গেল।
পড়ে বুলডোজার এনে দলীয় অফিস ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হইয়েছে। গোটা ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে। বিজেপির অভিযোগ, নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে । তৃণমূল পুলিশ কে সামনে দায় করিয়ে বিজেপি র দলীয় অফিসে ভেঙে দিয়েছে।
এদিকে নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, ওই স্থানে পুরসভার আর্বজনা ফেলার জায়গা ছিল। বেআইনিভাবে বিজেপির দলীয় অফিস বানানো হয়েছিল। এর বিরূদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল পুরসভায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুলডোজার এনে ওই দলীয় অফিস ভেঙে দেওয়া হয়েছে । তিনি মহিলা সাংবাদিকের ওপর হামলার নিন্দা করেন।