শারদস্রোতের ঢেউ আছরে পরেছে বঙ্গভূমিতে, শারদ আনন্দ এখন স্বদেশের সীমানা পেরিয়ে পৌঁছেছে ব্রিটেনের পিটারবোরোতে,সেই আগমনীর সুরে মাতোয়ারা ‘ “বেঙ্গলি কালচারাল এসোসিয়েশন” এর পুজা মণ্ডপ । প্রতিবছর মহিষাসুরমর্দিনীর সুর বেজে ওঠার সাথে সাথেই পিটারবোরোর “বেঙ্গলি কালচারাল এসোসিয়েশন” এর মণ্ডপে মায়ের আগমনের বাদ্যি বাজে। গত বছর অতিমারীর সময়েও ব্রিটেনের এক এক করে
পুজো মণ্ডপের ঘরে যখন আঁধার নেমেছিল, পিটারবোরো “বেঙ্গলি কালচারাল এসোসিয়েশন”এর প্রাঙ্গনে সুদূর কৈলাশ থেকে সপরিবারে উমা হাজির ছিলেন,অনুষ্ঠানের আড়ম্বর না থাকলেও বিন্দু মাত্র ত্রুটি ছিল না আয়োজনের।
আশির দশকের শুরুতে ইংল্যান্ডের কয়েকজন প্রবাসী বাঙালির হাত ধরে শুরু হয়েছিল পথচলা। দেখতে দেখতে এতগুলো শরৎ পেরিয়ে আজও অমলিন” বেঙ্গলি কালচারাল এসোসিয়েশন “এর পুজা প্রাঙ্গন। এখানে এলে মনে হয় মনের মতো সাবেকিয়ানায় মোরা একটা ছোট্ট বাংলার কথা যা এবারেও ঘুরে বেড়াবে পিটারবোরোর “লংট্রফ ভিলেজ” হলে। 2008 সালে কলকাতার কুমারটুলি থেকে উমা পাড়িদিয়েছিলেন ব্রিটেনে বলা চলে সেদিনের সেই উন্মাদনা আজও তেমনি তরতাজা।
এবছর উইকেন্ডর এ পুজোর মধ্যে ষষ্ঠী থেকে দশমী মায়ের বোধন, অঞ্জলি, সন্ধি পুজো, কুমারী পুজো ধুনুচি নাচ সবই হবে আগের মতো। ধুনুচির তালে তাল মেলানো সাথে শঙ্খ উলুধ্বনি তে ” লংট্রফ ভিলেজ হল সেন্টারের ” অন্দরে তখন বইবে আগমনী সুর। এখানেই শেষ নয় এবছর সংস্কৃতিক সন্ধ্যার আসরের আয়োজনে বিন্দুমাত্র খামতি নেই। কি নেই সেখানে আড্ডা -গল্প -নাচ -গান -বিতর্ক এই নিয়েই “বেঙ্গলি কালচারাল এসোসিয়েশন “এর পুজো প্রাঙ্গন থাকবে জমজমাট।
বরাবরই বেঙ্গলি এসোসিয়েশন এর পুজোতে সামগ্রিক একত্রতার ছবি চোখে পরে বারবার। কলকাতা থেকে হাজারো মাইল দূরে কোনো শহরের দুর্গা পুজোর এমন ছবি গুলোই বলে দেয়, বাঙালি রয়েছে আজও তেমন তা সকালেই হোক কিংবা একালে। বিদেশের মাটিতে স্বদেশের এমন স্বাদ সত্যিই অভিনব।
সুমনা আদক —