এখন মহাভারতের যুগ থাকলে পিতাশ্রী শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে আমার কথোপকথন কেমন হতো!
পিতাশ্রী
তমাল সাহা
তিনি আমাদের পিতা।
পিতাশ্রী কহিলেন, বৎস ধৈর্য ধরো।
আমার নিয়ন্ত্রণে চলিতেছে দুনিয়া।
যখনই পড়িবে সংকটে
জলে-স্থলে রণে বনে।
আমারে লইও স্মরণে ও শরণে।
অহম অস্তি তব জীবনে মরণে।
তিনি আমাদের পিতা।
পিতাশ্রী কহিলেন,তিষ্ঠ ক্ষণকাল,
আতঙ্ক সৃজন করিও না।
গুজবে করিও না কর্ণপাত।
আটষট্টিটি হাসপাতাল কোভিড-১৯,
ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করিয়াছি,
অন্যান্য পরিকাঠামোও প্রস্তুত।
আমি ঈশ্বর প্রেরিত দূত।
তিনি আমাদের পিতা।
পিতাশ্রী কহিলেন,
এখন আর হাসপাতাল নয়
আরোগ্য আবাসন।
স্বামীজি গাহিয়াছেন গান।
রামকৃষ্ণদেব শুনিয়াছেন—
নিবিষ্ট তাহার কর্ণস্থান,
চিত্ত ভরপুর নিস্তব্ধ প্রাণ।
মন চল নিজ নিকেতন—
উহাই এখন প্রকৃত শুশ্রূষা ভবন।
তিনি আমাদের পিতা।
পিতাশ্রী কহিলেন,করহো শ্রবণ।
জেলার কনন্টেইনমেন্ট এলাকা,রেড জোন আনিয়াছি প্রকাশ্যে আর নহে গোপন।
তালিকা দিয়াছি করো অবলোকন।
তিনি আমাদের পিতা।
হে পিতাশ্রী! তব চরণে করি নিবেদন,
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা
স্বল্প দর্শাও কেন করহ বর্ণন।
পিতাশ্রী কহেন,
রে পুত্র মোর!
বাঙালির মৃত্যুসংখ্যা করিলে বর্ধন
তাহা দর্শন করিবে সমগ্র ভারত,
তাহা হইবে বাঙালির লজ্জার ভূষণ।
তাই স্পষ্ট করিতে উচ্চারণ বিরত অনুক্ষণ।
তিনি আমাদের পিতা।
পিতাশ্রী কহিলেন,করো দর্শন!
আরো সুদৃঢ় ব্যবস্থা করিয়াছি গ্রহণ।
কেবিনেট কমিটি অন কোভিড
ম্যানেজমেন্ট করিয়াছি গঠন।
কমিটিতে আছেন সপ্তজন।
আমি লইয়াছি নির্বাসন।