অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী , হাওড়া :- আজকে হাওড়া উলুবেড়িয়াতে এসে এভাবেই আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সেকুলার ফন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং তাদের সঙ্গে বাম কংগ্রেসের জোটের চেষ্টাকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গের গ্রন্থাগার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। শনিবার বাগনানের লাইব্রেরী মোড়ে, কৃষি আইন বিরোধিতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিমূলক এক সভা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সংখ্যালঘু মানে মুসলমান খ্রীষ্টান সহ অন্যান্যরাও। সংখ্যালঘু মানুষরা এত বোকা নয়। নোটের থেকে ভোটের দাম বেশি। সংখ্যালঘুরা মার খাচ্ছে। তাই তারা অন্য জায়গায় ভোট দিয়ে ভবিষ্যৎ নষ্ট করবে না। বাংলার মানুষ জানে কোথায় ভোট দিতে হয়।
তিনি আব্বাস সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সেক্যুলার ফন্টকে কটাক্ষ করে বলেন, মিডিয়া এদের হাওয়াই তুলে দিয়েছে। বাংলার ভোট এত সহজ নয় যে পীরজাদা, সাহেবজাদা, অমুক জাদা দেখে ভোট হবে। সে জামানা নেই। মানুষ তাদের নিজেদের ভবিষ্যত দেখবে, শিক্ষা দেখবে, বাঁচার পথ, উন্নয়ন দেখবে। তারপর তারা ভোট দেবে। সেই সঙ্গে তিনি বামেদেরকেও বিঁধেছেন। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন কমিউনিস্ট দল আবার কবে পীর পন্থী হল। এতদিন বামেরা বলতো নাস্তিক্যবাদী। এখন ভোটের জন্য পীর পন্থী হয়ে গেছে। ভোট দেওয়ার কথা বলছে। আসলে এগুলো টিএমসিকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কংগ্রেসের মাজা ভেঙে গেছে। একই অবস্থা সিপিএমের। তাই তারা মাটি খুঁজে পেতে চাইছে। পাশাপাশি বিভাজনের রাজনীতির তারা করেন না বলে তিনি মন্তব্য করেন। এবং এব্যাপারে তিনি মানুষকে বিপদের কথা স্মরণ করাতে ১৯৪৭ সালের দাঙ্গার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিভাজনের তীব্র বিরোধী আমরা। মানুষ সাম্প্রদায়িক বিভাজন চায় না। সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারীরা না বদলালে লোকেরা তাদের জুতাপেটা করবে। পাশাপাশি তিনি মিম ও বিজেপির সম্পর্কে বলেন, বিষ খেলে ক্রিয়া আছে। তাই খাওয়ার আগে ভাববেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ধর্মগুরু সৈয়দ শা আতেফ আলি আল কাদেরী, আইনজীবী প্রসূন কুমার দত্ত, বেলুড় মঠের স্বামী পরমানন্দজী মহারাজ প্রমুখ।