অবতক খবর , রাজীব মুখার্জী, হাওড়া :      বড়সড় আর্থিক সংকটের মুখে হুগলি নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি। পুজোর মুখেই বেতনহীন ৩ শতাধিক কর্মী। যার জেরে কার্যত অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দোরগোড়ায় হাওড়া কলকাতার একাধিক রুটের ফেরি পরিষেবা। কোরোনা আর লকডাউন, জোড়া ফলায় বিদ্ধ সমিতির কর্মীদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্য সরকার আর্থিক সাহায্য না করলে বাড়বে বিপদ। অচলাবস্থা কাটাতে আজ হাওড়া ফেরি ঘাটে বিভিন্ন ঘাটের কর্মীরা জমায়েত করেন এবং আলোচনা করেন। সেই আলোচনায় ফের তারা সরকারের কাছে চিঠি দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জলপথ কর্মীদের আরও দাবি, দেশ ব্যাপী কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে যে টানা লক ডাউন চলছে তার জেরে বন্ধ রেল। হাওড়া স্টেশনের প্রত্যহ যাতায়াতকারী প্রায় ১০ লক্ষ যাত্রীর একটা অংশ এই ফেরি পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচমাস হাওড়া স্টেশনে লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকায় মুষ্টিমেয় যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সমিতি। মূলত ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং অল্প সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে আয়। তাই প্রায় ৩৫০ কর্মীর বেতন মেটাতে গিয়ে হাত পড়েছে হয়েছে জমানো পুঁজিতেও। কিন্তু গত মাস দুয়েক সেই খাত থেকে টাকা নিয়ে বেতন মেটাতে গিয়ে তলানিতে শেষ সম্বলটুকুই। এমতাবস্থায় কর্মীরা এক মাস বেতনহীন। কবে পাবেন তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। পরিস্থিতির সমস্ত কথা জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সমবায় মন্ত্রী সর্বত্র। কিন্তু এখনো কোনও দিক থেকেই মেলেনি সাহায্যের আশ্বাস। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে।

উল্লেখ্য, হাওড়া-বাবুঘাট, হাওড়া-বাগবাজার, হাওড়া-ফেয়ারলি, রামকৃষ্ণপুর-বাবুঘাট, মেটিয়াবুরুজ-নাজিরগঞ্জ, বজবজ-বাউরিয়া, নূরপুর, গেওখালী-গাড়িয়ারার মত একাধিক রুটে ফেরি সার্ভিস কার্যত অনিশ্চয়তার মুখে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। এদিকে, এবিষয়ে সমবায় মন্ত্রী কোনও মন্তব্য করতে চান নি।