দুর্গার ভাসান হয়ে গেল। পরদিন লুমেক্স জুটমিলে শ্রমিকরা গিয়ে দেখে মিলের মেশিন পত্র নিয়ে চলে গেছে মালিক। মজুরদের মাথায় হাত!
পুজোর উপকারিতা
তমাল সাহা
আজএকটি সহজ শব্দসজ্জা লিখি
এসব যদিও ফালতু লেখা! পদ্য করা যায় কিনা দেখি।
মা এলো, চলে গেল
বোধন হলো, হলো ভাসান
আমি দেখি আড়চোখে
কাদের যেন মুশকিল-আসান।
মা কি ঘুষ খায়
যাকে শুদ্ধ ভাষায় বলে উৎকোচ?
ঘুষ রাজনৈতিক মাত্রা পায়
জাতে ওঠে, লোকে বলে কাটমানি
এটা তুমিও জানো আমিও জানি।
মা আর মালিকে কি গোপন চুক্তি হয়েছিল?
মায়ের আগমনী, আহা! তিনদিন টিটাগঢ় লুমটেক্স
জুট মিল বন্ধ ছিল
এই সুযোগে মালিক মিলের যন্ত্রাংশ সরিয়ে নিল।
ভাসানের পরদিন
ভাগওয়ালা মজুরদের চোখে জল–
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জড়ো হয় গেটে
মুখে চিৎকার, হাত পড়েছে পেটে।
মেশিন ঘর শূন্য, পগাজুটমিল ফাঁকা
মা পগার পার–
শ্রমিকের কপালে ভাঁজ
মুখে দুশ্চিন্তার রেখা।
মা শ্রমিকের দিক থেকে দূরে সরে যায়
তুমি জলগান্ডু, অক্ষরবাজ! কেন খুঁজে খুঁজে এসব তুলে ধরো লেখার পাতায়!
আমি বলি
এটা পুজোর উপকারিতা এবার তুমি বলো,
এটা কি হলো পদ্য গদ্য প্রবন্ধ অথবা
সোচ্চার কবিতা?