অবতক খবর: সোমবার ১৯টি জেলার ৬৯৬টি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় রাজ্যে পুনর্নির্বাচন শুরু হয়েছে। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবার বেশ কয়েকটি জেলায় পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির জেরেই তা হচ্ছে।দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যে নির্বাচনের নামে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এই সরকারের আর থাকার অধিকার নেই। দরকার নেই এই সরকারের। ভয় পাচ্ছে তৃণমূল। ওদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। রাজ্যের মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করে মুক্তি চাইছে। গোটা দেশ গোটা বিশ্ব সেদিন দেখেছে, কি হয়েছে। এরপর এই সরকারের থাকার কোনও এক্তিয়ার নেই। প্রয়োজনও নেই। কিন্তু যেহেতু গণতান্ত্রিকভাবে এসেছে, যাওয়াও সেভাবেই উচিত। কিন্তু ততদিন এরা থাকলে বাংলার সর্বনাশ হয়ে যাবে।’
এই পুনর্নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি মুর্শিদাবাদের বুথে ভোট হচ্ছে। কারণ এখানেই সন্ত্রাস বেশি হয়েছে। আর এখানে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীই বেশি মারা গিয়েছে। কংগ্রেস কর্মীও নিহত হয়েছেন। তবে তুলনায় নগণ্য। এই আবহে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘রাজনৈতিক দূষণ হয়েছে সেদিন। তার থেকে সবাই মুক্তি চাইছে। রাজ্যের মানুষও চাইছে। রাজ্যপালও চাইছে। রাজ্যপাল তো দিল্লি চলে গেলেন। রাজ্যের মানুষ কোথায় যাবে? ওরা সমাজবিরোধী, গুন্ডা। ওদের দিয়ে এরা ভোট করাত। এবার পারেনি। সাধারণ মানুষ এবার তৈরি ছিল। পাবলিক গাছে বেঁধে পিটিয়েছে। ফলে গুন্ডারা কেউ কেউ মারা গিয়েছে। তৃণমূলের লোক মানে গুন্ডা। পুলিশ আর গুন্ডা ছাড়া এখন তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে কেউ নেই।’
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের একাধিক জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। তাতে প্রাণ হারায় অন্তত ১৮ জনের। এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ দিলীপ ঘোষের। ব্যালট বাক্স চুরি থেকে ব্যালট পোড়ানো, পুকুরে ব্যালট ফেলে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার পুননির্বাচন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।