অবতক খবর,১৬ ফেব্রুয়ারি: অহংকার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন কাঁচরাপাড়া ৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়। তিনি যে অহংকার নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তা স্পষ্টতই বুঝতে পারছেন এলাকাবাসী। কারণ ওই ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ যারা তাঁর সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন, যাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছিল তাঁর উপস্থিতিতে, প্রথমে তাদের কাছে গিয়ে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল। এমনই মনে করছেন অঞ্চলের অধিবাসী থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু তিনি তা না করে নিজের অহংকার নিয়েই চলছেন এবং প্রচার চালাচ্ছেন। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পুরনো তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা কেউই তাঁর পাশে নেই। তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানাচ্ছেন যে, আমরা কিসের জন্য কেন খাটবো? তিনি যখন প্রার্থী হয়েছেন তিনি কি একবারও আমাদের কাছে এসেছেন? কিংবা একবারের জন্যও কি আমাদের সাথে কথা বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন? তিনি তো একবার এসে এমন কথাও বলেননি যে, “চলো সবাই আবার এক হয়ে একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করি!” আসলে তিনি নত হতে চাইছেন না। রাজনীতিতে যে যত নত, সে ততই উন্নত। কিন্তু তাঁর মধ্যে সেই রকম কোনো লক্ষণ নেই। কি মনে করেন তিনি নিজেকে? এই প্রশ্নই এখন তুলেছেন কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সেই সময় মারধর করে ছিলেন তৃণমূলের কর্মীদের। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ক্লাব দখল করা থেকে শুরু করে ভাঙচুর পর্যন্ত করেছেন। এত কিছুর পরেও আমরা তাঁকে কেন সহযোগিতা করব? কেন তাকে ভোট দেবো?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স ছেঁড়া, বুথ এজেন্টদের মারধর করা, সবটাই তাঁর উপস্থিতিতে হয়েছে। কিন্তু এখন আবার এই দলে ফিরে এসে প্রার্থী হয়েছেন অথচ এখনও সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করতে চাইছেন না। তিনি অহঙ্কার বজায় রেখেছেন। এমনই জানাচ্ছেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
তারা এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন যে, বিধানসভা ষয় একজন হেরে যাওয়া প্রার্থীর এত অহংকার কোথা থেকে আসে?