পুরাতনী
তমাল সাহা
এখনও সেই সাবেকি সনাতনী।
চেয়ে দেখো মাথা তুলে ঊর্দ্ধপানে
এখনও পৃথিবী ভেসে যায় অবিনশ্বর গানে।
এখনও সেই সনাতনী নীল আকাশ
পেঁজা তুলো মেঘ উড়ে যায়।
সেই সোনালী রোদ
খেলা করে মর্ত্যের বারান্দায়।
মাঠ ধারে অজস্র কাশফুল
হাওয়ার সঙ্গে তার লুকোচুরি।
প্রজাপতি ফড়িং-এর
নির্মল ওড়াওড়ি।
ঝরা শিউলি অঞ্জলি হয়ে
মাটিতে আনন্দ ছড়ায়…
কাকে প্রণতি জানায়!
পটুয়া মাটি ছানে আনন্দ সুখে
এ কোন মুখ বানায়!
সেই তো সে-ই পুরনো ডাকের সাজ
সলমা জরি বুলনের কারুকাজ।
পদ্মদিঘি থেকে নীলপদ্ম
তুলে আনে মালি।
ঢাকের কাইনানা, কাঁসরের ধ্বনি।
কোথায় আধুনিক সবই তো পুরাতনী!
গিরিবালার নাকে নোলক
হাতে কঙ্কন কানে ঝুমকোলতা
পায়ে আলতা– কী রূপময়ী!
সবই তো সেই পুরনো দিনের কথা।
তার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে
নতুনের গাথা।
আধুনিকতা মুছে দিয়ে
পায়ে পায়ে হেঁটে আসে
মহিষাসুর মর্দিনী।
সে তো তোমার আমার
সকলের মা আগমনী।
মা আমার সর্বজয়া!
আগমনের আর নেই দেরি।
পৃথিবী!
তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো তাড়াতাড়ি।