অবতক খবর,১৩ই মে,কলকাতা,সুমিত: গত ১২ই মে সকাল ১১টা নাগাদ পুরুলিয়া কেন্ডা থানার তরফে (পুরুলিয়া) ( কেস নং ১৭/২২,তারিখ: ১৭.০২.২০২২,ধারা ৪২০/৪০৬/৩৪ আইপিসি) সিআইডির টিম দ্বারা অভিযান চালানো হয় তিনটি কল সেন্টারে(কলকাতার অনুমোদিত প্রাইভেট অফিস)। ১৩ই মে দুপুর ২টো পর্যন্ত অভিযান চলে। বিপুল সংখ্যক জাল নথি, নোটবুক, রেজিস্টার, ডায়েরি, ভাড়া/লিজ চুক্তিপত্র, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ল্যাপটপ, একটি রেনল্ট কুইড গাড়ি এবং নগদ ৩০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এই তিনটি কল সেন্টার থেকে ২০ জন অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,মামলার তদন্তের সময়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই ২০ জন অভিযুক্তরা ওই কল সেন্টার থেকে কাজ করতো:-
১) রুম নং ৩১৮ সি, ৩য় তলা, হেয়ার স্ট্রিট থানা এলাকার অধীনে মার্টিন বার্ন বিল্ডিং
২) আনাশভিশনের কার্যালয়, রুম নং বি ৩, ২য় তলা, বউবাজার থানা এলাকার অধীনে সেন্ট্রাল প্লাজা এবং
৩) অ্যানাশভিশন কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড অফিস, রুম নং ২০১, ওম টাওয়ার পার্কস্ট্রিট , শেক্সপিয়ার সরণি থানা এলাকার অধীনে।
পুলিশ সূত্রের খবর এই তিনটি কল সেন্টারে কর্মরত থাকা কর্মচারীরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষকে দ্রুত ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেবে এবং জাল বীমা পলিসির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন। দীর্ঘদিনের এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল এইস কলসেন্টার গুলি। রাজারহাটের এলিটা গার্ডেন ভিস্তার,
মূল অভিযুক্ত সন্দীপ বিশ্বাস বছর ৩৫ এর এই ব্যক্তি তিনটি কল সেন্টার খুলেছিলেন এবং বিভিন্ন মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বহু সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার ছক কোষেছিলেন।
ইতিমধ্যেই ওই তিনটি কল সেন্টার গুলিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিল করে দেওয়া হয়েছে।
আজ অভিযুক্তদের পুরুলিয়া আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান আদালতে।
আদালত ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন ওই ২০ জন অভিযুক্তদের।