অবতক খবর: আগের চেয়ে ভালো আছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। যদিও এখনও সম্পূর্ণ সংক্রমণমুক্ত নন। হাসপাতাল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যাতে নিজে থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারেন সেজন্য তাঁকে পালমোনারি ফিজিয়োথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া তাঁর রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি রয়েছে। তা কমাতে দেওয়া হয়েছে ইনসুলিনিব।
পরিবার সূত্রের খবর, শনিবার সকাল থেকে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে বুদ্ধদেবের। তা একসময় ৭০-এর নীচে নেমে যায়, সঙ্গে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। প্রথমে পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতেই তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি অক্সিজেন নিতে পারলেও ‘রেসপন্ড’ করছিলেন না। এরপরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শনিবারই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর সোমবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান মমতা। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। বুদ্ধদেবের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি জানান, বুদ্ধদেব তাঁকে দেখে হাত নেড়েছেন। মমতার কথায়, ‘ওঁর জ্ঞান আছে। হাত নাড়লেন। দেখে মনে হল, অনেকটা সুস্থ হয়েছেন। ওঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়েছে। বাইপ্যাপ চলছে। তবে আমি তো চিকিৎসক নই। তাই এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না।’ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বুদ্ধদেবকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাম অ্যাভিনিউ থেকে গ্রিন করিডর করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাঁকে। ৭৯ বছর বয়সি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন তিনি।