অবতক খবর: পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদেরও পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করতে হবে। ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের দায়ের করা মামলার নিষ্পত্তি করে জানিয়ে দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের এক সপ্তাহ আগেও এনিয়ে মামলার শেষ নেই। দায়ের হচ্ছে একেরপর এক মামলা। কোথায় তথ্য গোপন করে নমিনেশনের অভিযোগ, আবার কোথাও যেসমস্ত পেশার ব্যাক্তিরা ভোটে অংশ নিতে পারবে না জানিয়েছিল কমিশন সেই রকম বেশ কিছু প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ। তার মধ্যে রয়েছেন কন্ট্রাকটর সিভিক ভলান্টিয়ারের পেশার মানুষ। মামলায় কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
সব সময় তারা কাজের মধ্যেই ব্যস্ত থাকে। তাই ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।তাঁদের দাবি, প্রশাসনিক কাজের বাইরে তাঁদের রাস্তা, ব্রিজ মেরামত সহ যাবতীয় ওই সংক্রান্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু বিচারপতি জানিয়ে দেন, কোনোভাবে তারা ছাড় পেতে পারেন না। নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইন অনুযায়ী তাদের পদাধিকার বিবেচনা করে যোগ্য জায়গায় ডিউটি দিতে হবে। সেই ব্যাপারটা বিবেচনা করবে কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, “রাস্তা-ব্রিজ কি ভাবে যে সারাই হচ্ছে, সেটা রাজ্যের মানুষ দেখছে। তারা সব জানে। তাই রাস্তা সারাইয়ের দোহাই দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারদের ভোটের ডিউটি আটকানো যাবে না।”
অন্যদিকে, মনোনয়নের দিনক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও মনোনয়ন জমা করেছেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েও মামলা গড়িয়েছে হাইকোর্টে। মামলায় দাবি করা হয়েছে, মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। অথচ ওই তৃণমূল প্রার্থী ২৪ জুন অর্থাৎ, শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার ৯ দিন পর মনোনয়ন জমা করেছেন। মামলায় বিডিও অফিসের ভিডিও ফুটেজ তলব করেছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
মনোনায়নের শেষ দিনের পরেও তা জমা করার অভিযোগ উঠেছে। ১৫ জুন মনোনয়ন জমার শেষ দিন ছিল। সেখানে কি করে ২৪ জুন একজন জমা দেয় মনোনয়ন, সেই প্রশ্ন তুলে মামলা হয়। অভিযোগ, বীরভূমের নলহাটির তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী আশাধন মাল গত ২৪ জুন মনোনয়নে দু জায়গায় সই করেছেন। রাজ্য জানায়, ১৪ জুন মনোনয়ন জমা পরেছে। ফলে সাক্ষরের তারিখ ভুল হতে পারে। সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। একইসঙ্গে, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে স্বপন মণ্ডল, কাশিমুল হক-সহ পঞ্চায়েত সমিতির ৫ প্রার্থী তথ্য গোপন করে মামলা করেছে বলে অভিযোগ।