অবতক খবর,১ মে: আজ মে দিবস। বাকি অন্য দিনগুলোর মতন সকালে রাস্তায় বেরিয়ে চা পেয়ে গেছেন নিশ্চয়ই কারণ চায়ের দোকানদার দের ছুটি আজ অন্যদিনের মতই টোটো রিক্সা তে চেপে বাজার যাবেন বাজারে মাছ ওয়ালি,, সবজিওয়ালা,, বাজারে থাকবে তাদের বিরাম নেই।
আজ তার উপর রোববার। ভদ্রলোক মধ্যবিত্তদের মাংস খাওয়ার দিন । কসাইয়ের দোকানে লম্বা লাইন থাকবে কারণ তারাও কর্মে ব্যস্ত। মে দিবস এলিট ভদ্রলোকদের ছুটির দিন।
ঈদের বেচাকেনার জন্য হাট বাজারের দোকানে কর্মচারীদের গলদঘর্ম। পান থেকে চুন খসলেই খেতে হতে পারে গলা ধাক্কা।
আভিজাত্য এবং ধনী পরিবারে অথবা রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ির কাজের মাসি কাজের দিদি ড্রাইভারদের ছুটি দেননি, কারণ বিকালে কোথাও বক্তব্য দিতে হলে তাদের প্রয়োজন হবে।
যাদের জন্য যাদের উদ্দেশ্যে এই দিনটি তারা সকলেই পেটের ভাত জোগাড় করতে নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত। তারা প্রায় সকলেই জানে না এই দিনটির তাৎপর্য।
সেতো কত বছর আগে 8 ঘণ্টা কাজের দাবি আদায় করা হয়েছিল,,
কিন্তু আজও মানুষ কাজ করে 12 ঘন্টা 16 ঘন্টা।
বিজ্ঞান ও টেকনোলজির নাকি অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে কূড়ি ঘন্টার কাজ এক ঘন্টায় হয়ে যাচ্ছে।
তাহলেতো শ্রমজীবী মানুষের কাজ 8 ঘন্টা থেকে চার ঘণ্টা হওয়া উচিত ছিলো।
আজকের দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের দরদে উঠে আসবে নানান গালভরা প্রতিশ্রুতি স্লোগান, কিন্তু একদিনের জন্যও কি তাঁতর খটখট, লোহার ঝন ঝন, কামারশালায় হাতুড়ি পেটানো, কল কারখানায় শ্রমিকের মেশিনের শব্দ বন্ধ থাকবে? তাদের পরিবার কি আদৌ সুরক্ষিত? সন্তানের পড়াশোনা, বয়স্কদের চিকিৎসা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সরকারি সহযোগিতা, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে জীবনের বীমা সকলের আছে তো? সরকার কর্তৃক ঘোষিত অতিমারির দীর্ঘ লকডাউনে কোন শ্রমজীবী পরিবার সহযোগিতা পেয়েছে কেউ সরকারি? হস্তচালিত তাঁত শিল্পীদের ভবিষ্যৎ কী? ইউক্রেনের যুদ্ধ হোক বা করোনার কারণে হাজার হাজার শ্রমিক কেমন আছে এখন? খোঁজ নেওয়া হয়নি আমাদের। তাই আজ তাদেরকে কোন মুখে মে দিবসের শুভেচ্ছা জানাবো? শুধু শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই আমাদের কাছে। তাই তাঁদের জন্য রইলো শুভকামনা।