অবতক খবর,৪ এপ্রিল: পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস সাধারন মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত মানুষদের। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারনে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। ফলে চরম আর্থিক অনটনে পড়েছে আম জনতা। তবে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন মোটরবাইক চালক ও যানবাহন চালকেরা। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের তৃনমূল বিধায়ক তথা তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণ কল্যানী বলেন, এরজন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাঁর কথায় এটাই কি মোদিজীর ” আচ্ছে দিন “!

গত ১০ দিনের মধ্যে ৬ বার বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। পেট্রোল আজকের দিনে ১১৩ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেলের দামও সেঞ্চুরির পথে। রান্নার গ্যাসের দামও সিলিন্ডার প্রতি হাজার টাকা। পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারনে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ থেকে মধ্যবিত্ত মানুষদের। পেট্রোল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুব স্বভাবিকভাবেই দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর। খেটে খাওয়া সাধারন মানুষেরা বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নুন্যতম চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও শাক সবজি কিনতে। বাজারে সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার প্রতিপালন করা দায় হয়ে গিয়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের।

ভাড়া গাড়ির চালকেরা জানিয়েছেন ভাড়া খাটিয়ে যা পাচ্ছি সবই তেল কিনতে চলে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য যেভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে ফলে আর বাইক চালানো সম্ভব হচ্ছেনা। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগীর দাম বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু বেতন তো আর বৃদ্ধি হচ্ছেনা ফলে সংসার প্রতিপালন করাই দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।

পেট্রোল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটায় বহু প্রাইভেট গাড়ির মালিক তাঁদের গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছেন। সকল মানুষের একটাই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ উদাসীন। রায়গঞ্জের তৃনমূল বিধায়ক জানিয়েছেন পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি জনরোষে পরিনত হচ্ছে। তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অথচ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এব্যাপারে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।