অবতক খবর,২৩ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:- বিকাল সাড়ে তিনটের সময় পাড়ার মোড়ে দুটি মোটরসাইকেলের চেপে মুখ বেঁধে আসা ছয় দুষ্কৃতী এলাকার এক ছাত্রের পকেট থেকে সামান্য একটি পুরনো মোবাইল নিতে গলায় ধরল চাকু! শুধুই কি মোবাইল রীতিমতন তার ব্যাগ তন্ন তন্ন করে খোঁজা, কি ছিলো সেই ব্যাগে অথবা মোবাইলে? না হলে দু তিন বছরের পুরনো একটি দুই তিন হাজার টাকার মূল্যের সামান্য মোবাইল ছিনতাই করতে এত আয়োজন ?

এই নিয়েই জল্পনা নদীয়ার শান্তিপুর মদন গোপাল পাড়া মনসাতলা এলাকায়। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ তবে সিসি ক্যামেরা আশেপাশে না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার কিংবা রহস্য উদঘাটন বেশ কষ্টকর।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর মদন গোপাল পাড়া মনসাতলা এলাকার বিশ্বজিৎ পাত্র এবং সুমিতা পাত্রের একমাত্র সন্তান নবম শ্রেণীতে পড়া রাজপাত্রের সাথে হয়েছে।

অন্য আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন গতকাল তার বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী চৌগাছা ঠাকুরপাড়া এলাকায় পড়তে যাচ্ছিল পিঠে বইয়ের ব্যাগ নিয়ে তার কথা অনুযায়ী হঠাৎ কল্লাপাড়ার মুখে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সজন মুখ বাধা দুষ্কৃতি হঠাৎ তাকে ঘিরে ধরে কোন কথা না বলেই প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ব্যাগের চেন খুলে খানিকটা দেখার পরেই মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে চলে যায় চাঁদনী পাড়ার দিকে। যদিও ওই ছাত্রের দাবি অনুযায়ী তাকে তার আগের দিন সন্ধ্যায় বাড়ি পর্যন্ত লক্ষ্য করে যায়।

মা সুমিতা পাত্র বলে ছেলে অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির তাই তার মোবাইলে এমন কিছু থাকতে পারে না যার জন্য এই দুষ্কৃতী হামলা হতে পারে এটা নিছকই ছিনতাই ছাড়া আর কিছু নয় কারণ ওই মোবাইল তারাও দেখেন।

বাবা বিশ্বজিৎ পেশায় রংমিস্ত্রি সে বলে , গতকালকের এই ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কিত তারা তবে সাথে সাথে শান্তিপুর থানায় জানানো হয়েছে পুলিশ ও এসেছে তবে আশেপাশে একটি বাড়িতে মাত্র সিসি ক্যামেরা রয়েছে কিন্তু তারা দিনের বেলা চালান না তাই কোন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে না তবে ছেলের কথা অনুযায়ী একটি লাল অপর টি লাল কালো মোটরসাইকেল দেখতে পেয়েছে সে তবে নাম্বার মনে নেই।