অবতক খবর , সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুর:- বুধবার রাতে এক ব্যাক্তির বাড়িতে প্রবেশ করেছিল বিষধর খরিস ৷বুঝতে পেরে সাপটিকে না মেরে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়েছিলেন চেষ্টা করে ৷ নজরদারিতে রেখে সকালে বনদফতরে খবর দেওয়া হয় ,খবর যায় স্বেচ্ছাসেবী স্নেক ক্যাচারের কাছেও ৷ প্রশিক্ষিত বনকর্মীরা এসে সাপটি ধরতে গিয়ে কেটে ফেললেন সাপের শরীর ৷ বের করতে অক্ষম হলেন গর্ত থেকে ৷ শেষমেস উদ্ধার করল স্বেচ্ছাসেবী স্নেক ক্যাচার ৷ বনদফতরের ভুমিকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা ৷

 

ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার খাকুড়দা এলাকাতে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব দে- র বাড়িতে বুধবার রাতে প্রবেশ করে গিয়েছিল একটি বিষধর সাপ ৷ পুর্ন বয়স্ক খরিস সাপটিকে দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও  তাকে না মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন ৷ রাতে তার দিকে নজরদারি রেখেছিলেন সঞ্জব বাবু ও প্রতিবেশীরা ৷ পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে সাপটিকে প্রতিবেশীর পাকার বাড়িতে একটি পিলারের তলাতে ঢুকে থাকতে দেখা যায় ৷ সকালে খবর দেওয়া হয়েছিল বনদফতরে ৷ বনদফতরের কর্মীরা অনেক দেরিতে এসেও সাপটিকে দেখেই গড়িমসি করে বলে অভিযোগ ৷ প্রশিক্ষিত ওই বনকর্মীরা সাপটিকে ধরার বিভিন্ন অপটু চেষ্টা শুরু করেন ৷ তাতে দীর্ঘক্ষন ভুল চেষ্টায় সাপটির পেট কেটে যায় ৷অথচ সাপটিকে ভেতর থেকে বের করতে অক্ষম হয় ৷ বনদফতরের এই ভুল পদক্ষেপে সাপটি মারা যেতে বসেছে দেখে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা ৷

সঞ্জীব বাবু বলেন- সাপটিকে যাতে মেরে না ফেলে সুস্থ্য অবস্থায় লোকালয় থেকে বের করা যায় তার জন্যই বনদফতরকে ডাকা হয়েছিল ৷কিন্তু বনকর্মীরা অনেক দেরিতে গড়িমসি করে হাজির হয় ৷ সাপটিকে ধরতেই তাদের অনীহা দেখা যায় ৷ উদ্ধার করার কৌশলও অপটু ৷ সব মিলিয়ে বনদফতরের কর্মীদের গাফিলতিতেই সাপটি মারা যেতে চলেছে ৷ এই বনদফতর বেলদা এলাকায় এমন ঘটনাতে সর্বদায় এমন ভুল পদক্ষেপ আগেও করেছে ৷

দীর্ঘ চেষ্টাতেও সাপটিকে বের করতে না পেরে শেষ মেস সেখানে হাজির হয় মেদিনীপুর শহরের স্বেচ্ছাসেবী স্নেক ক্যাচার দেবরাজ চক্রবর্তী ৷ দেবরাজ নিজ কৌশলে সাপটিকে ভেতর থেকে বের করেন ৷তারপর তুলে দেন বনদফতরের হাতে ৷ দেবরাজ বলেন – সাপটিকে বনকর্মীদর ভুলে এই ক্ষতি করা হয়েছে ৷ তা দেখে খুবই খারাপ লাগছে ৷ তবে বনদফতর শেষ চেষ্টা করুক সাপটিকে বাঁচানোর ৷