অবতক খবর, উত্তর দিনাজপুর: চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ইসলামপুর সুপার স্পেশালিষ্ট হাসপাতাল ভাঙচুর চালাল রোগীর আত্মীয়রা। চতুর্থ শ্রেনীর এক কর্মীকে মৃতের আত্মীয়রা মারধর করে বলে অভিযোগ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। তবে এখনও পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ জমা পড়েনি। জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানিয়েছেন, প্রসূতি মৃত্যু কাম্য নয়। কেন মৃত্যু হল সেই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।
জানা গিয়েছে , গোয়ালপোখর থানার পোখরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের ইকরচলা গ্রামের রুবি বেগম নামে মহিলা প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্ত্তি হয়েছিল। তার ছেলে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করে। অধিক রাতে তাকে স্থানান্তর করা হয়। শিলিগুড়িতে যাবার পথেই প্রসূতির মৃত্যু হয়।
মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে এসে মৃতের আত্মীয়রা জরুরী বিভাগে চেয়ার টেবিল উল্টে দিয়ে ইট দিয়ে দরজার কাঁচ ভেঙ্গে দেয়। এছাড়াও জরুরী বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চতুর্থ শ্রেনীর কর্মী সাহেব ঘোষ নামে এক ব্যাক্তিকে মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌছায়। মৃতের আত্মীয়রা রাতেই দেহ এবং সদ্যজাত সন্তানকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। সাহেব ঘোষের অভিযোগ, রোগীকে স্থানান্তর করার পর বেশ কিছুক্ষন তারা অযথা দেরি করে। অস্বাভাবিক রক্তক্ষরনের কারনে তার মৃত্যু হয়েছে।
ইসলামপুর থানার আইসি জানিয়েছেন, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। হাসপাতালের তরফ থেকে এনিয়ে কোন অভিযোগ জমা পড়ে নি। অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানিয়েছেন,প্রসূতি মৃত্যু কাম্য নয়।কেন প্রসূতির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হবে।