অবতক খবর,৮ আগস্ট: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যর মৃত্যু্য খবর শোনার পর সাংবাদিক বৈঠকে স্মৃতি রোমন্থন করলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন দীর্ঘদিন বাম জমানায় বাম জমানার বিরোধিতা করে আমরা রাজনীতি করেছি।
কংগ্রেসের এমএলএ পদে দাঁড়িয়ে কোন সময় জিতেছি কোন সময় হেরেছি লোকসভায় জিতেছি খুব স্বাভাবিকভাবে প্রতিমুহূর্তে বাম ঘরানার রাজনীতির বিরোধিতা করেই আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে, বললেন অধীর। তিনি বলেন বিরোধীতা মানেই সংঘাত, প্রতিবাদ সমালোচনা করতে হয়েছে।
বিধানসভায় তিন বছর এম এল এ থাকাকালীন তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতি বসু এবং পুলিশ মন্ত্রী ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই বাম আমলে। সেখানেও বিরোধিতা করেছি কিন্তু দিনের শেষে একটা কথা স্বীকার করতেই হবে, যেটা না স্বীকার করলে অন্যায় হবে সেটা হচ্ছে এই একটা রাজনৈতিক ব্যক্তি যে তার গোটা রাজনৈতিক জীবনে কখনো সততা থেকে বিচ্যুতি হননি এবং তার রাজনৈতিক নিষ্ঠা থেকেও সরে আসেননি, তিনি তার আদর্শ থেকে কখনো পিছপা হননি।
অধীর চৌধুরী আরো বলেন যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজনপোষণ করার অভিযোগ মৃত্যুকাল পর্যন্ত বাংলায় কেউ করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন বুদ্ধদেব বাবুর ভাবনার সঙ্গে আমাদের মিল থাকতে পারে নাও পারে। এক সময় এই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম নিয়ে তার বিরোধিতা করেছি, তারপরেই মনে করেছি সিঙ্গুরে বিরোধিতা না করলেই মনে হয় ভালো হতো। স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে অধীর বলেন 2016 সালে শেষ আমার সঙ্গে পার্ক সার্কাসে দেখা হয়েছিল।
আমি ছিলাম বুদ্ধবাবু ও রাহুল গান্ধী ছিলেন। তার সঙ্গে অনেক সংঘাত থাকা সত্ত্বেও তার এই ব্যক্তিত্ব তার এই নিষ্ঠা, সততা, আদর্শের প্রতিকার আস্থা এগুলি সকলকেই প্রভাবিত করে। তিনি এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বলেন আজকে যখন বাংলায় দুর্নীতি এবং রাজনীতি একে অপরের পরিপূরক হয়ে গিয়েছে তখন নিঃসন্দেহে কথা বলা যেতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বুদ্ধবাবুর এই চরিত্রটা তারা যদি গ্রহণ করতে পারে, তাহলে বাংলা বাঁচবে বলে তিনি মনে করেন আজ এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই বার্তা দিলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।