অবতক খবর,৪ নভেম্বর : বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বিজেপি সংসদ দিলীপ ঘোষ শুক্রবার সকালে সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রাতঃভ্রমনে আসেন, প্রাত ভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের। তিনি বলেন, এতদিন পরে আমতায় অভিষেকের জনসভা মাঝে মাঝে দর্শন দেওয়া ভালো তাই যাচ্ছেন।পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে মনে পড়েছে।

বিজেপির ডেঙ্গু অভিযান নিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন সিপিআইএম আন্দোলন করেছে তাই বিজেপি আন্দোলন করছে সিপিআইএম বিজেপি মিলেমিশে চলে উনি হচ্ছেন ডেঙ্গু মিনিস্টার। ডেঙ্গু চেয়ারম্যান ‌যেদিন থেকে উনি কর্পোরেশনের মেয়র হয়েছেন ডেঙ্গু বেড়েই চলেছে উনি খালি বিবৃতি দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন আজকে করোনা চলে গেছে করোনার চেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়েছে ডেঙ্গুর দ্বারা। ৪০ হাজার লোক সংক্রামিত আরো কত জন সংক্রামিত জানিনা। হাসপাতাল না গেলে বোঝা যায় না এই পরিস্থিতি। কেন উনি খালি বিবৃতি দেবেন কে কি করছে যারা বিরোধী তারা তাদের কাজ করছে আপনার ঘুম যদি না ভাঙ্গে সবাই চেঁচাবে, দরকার পড়লে একসাথে চেঁচাবে সবাই আপনাদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙ্গে না বিজেপি না সিপিএম বিরোধীদল তারা তাদের কাজ করছে আপনাকে লোক জিতিয়েছে ওখানে বসিয়েছে। লোক মরবে আপনি মরা গুনবেন বলে।

কোচবিহারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নিশিথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা পশ্চিমবঙ্গ ধীরে ধীরে উপদ্রুত এলাকা হয়ে যাচ্ছে। এখানকার বীরভূমের অনুব্রত ওখানে কোচবিহারের উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এরা হচ্ছে সেম ক্যাটাগরির লোক। এরা হচ্ছে তৃণমূলের নেতা তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা যদি সব গুন্ডা হয় বাতুলতা সুরক্ষা চাওয়াটা। আমাদের এখানে প্রথমবার হচ্ছে না, তার ওপর অ্যাটাক তৃণমূলেরা দাঁড়িয়ে করেছিল। ভোটের পরে পূর্ব মেদিনীপুরে কর্মীদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন মল্লিধরণ মন্ত্রী তার উপরে অ্যাটাক হয়েছিল আমাদের ওপর রোজই হয় মারে কেস দেয় আজকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারও কোন সুরক্ষা নেই তিনি আমাদের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাস্তায় বোম মারা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আদৌ সরকার আছে কিনা বোঝা যায় না।
কাল বিভিন্ন জায়গায় ইডি , সিবিআই জেরা চালিয়েছে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন জেরা চলছে আরো বাড়বে, ওরা অনেক কিছু তথ্য পেয়েছে তারা ধারে জেরা হবে অ্যারেস্ট হবে লম্বা প্রসেস আছে আমরা চাইবো খুব তাড়াতাড়ি হোক এটা মানুষ খুবই হতাশ এই দুর্নীতি দেখে তারপর যদি সাজা না হয় তাহলে লোকেরা হতাশ হয়ে যাবে।

মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডল গতকাল এক কথা বলেছেন তার আগের দিন আরেক কথা বলেছিলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে আমাদের সামনে বা আপনাদের সামনে কি বলল বড় কথা নয় আসল কথা সিবিআই-এর সামনে বলতে হবে। সেদিন হয়তো রাগে ভয়ে ভুল করে মুখ দিয়ে নামটা বেরিয়ে গিয়েছিল তিনি হলো মানিক বাবু বা বোর্ড একই জিনিস হয়তো কেউ ভয় দেখিয়েছে বা চমকেছে তাই বিবৃতি পাল্টাচ্ছেন সে সিবিআই তো পেট থেকে বার করবে সব।

বিজেপি চক্রান্ত করে অশান্তি করতে চাইছে শুধু ডিসেম্বর মাস নয় জানুয়ারি মাসেও অশান্তি ছড়াতে পারে বিজেপি। সবাই সতর্ক থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী কি চশমা পড়েছেন জানিনা তার নেতার বাড়িতে অস্ত্র-শস্ত্র পাওয়া যাবে বিজেপি অশান্তি করবে আহাম্মক ভেবেছেন বাংলার লোককে সবকটা নেতা সমাজ বিরোধী সবার বাড়িতে অস্ত্রশস্ত্র এর কারখানা বার করুন হিম্মত থাকলে চোর ডাকাতগুলোকে পুষে রাখবেন আর বাংলায় শান্তি থাকবে।

স্টালিনের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন গতবারে ২০১৯ সালে উনি উত্তর ভারত যাত্রা করেছিলেন যার যার বাড়ি গেছিলেন সবার দোকান বন্ধ হয়ে গেছে, কেউ কেউ উপরে চলে গেছেন এবার দক্ষিণ ভারত গেছেন আমি জানিনা কি রেজাল্ট হবে গতবারে এক ডজন সিট কমেছিল গতবারে যা হয়েছে ওটার অর্ধেক হবে অপেক্ষা করুন আসছে ২৪ সাল।