অবতক খবর,১২ মার্চ,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান: কোন ছাত্র তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেনী, পর্যন্ত পড়েছে কেউ কেউ হয়তো পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছে। কিন্তু আর পরে বছরখানা ধরে, আর স্কুলমুখো হয়নি তারা। মন্তেশ্বর ব্লকের এইরকম স্কুল ছুট পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রশাসন। তাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেছেন মন্তেশ্বরের বিডিও সঞ্জয় দাস ও মন্তেশ্বর তিন নম্বর চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সার্কেল ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ সোমেল শেখরা।
বিডিও সঞ্জয় দাস জানান মন্তেশ্বর ব্লকের তিন নম্বর চক্রের ৭ থেকে ৮জন স্কুলছুট পড়ুয়ার সন্ধান মিলেছে। ভাগড়া মূলগ্রাম অঞ্চলের ভাদাই ও মূলগ্রামের এইরকম স্কুলছুট পড়ুয়া অভিভাবকদের কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এক অভিভাবক জানান পরিবারের সদস্যরা চেন্নাইয়ে কাজ করেন। ছেলেটির মা এক অসুস্থ আত্মীয় দেখভাল করতে চেন্নাই গেলে ছেলেটিও তার সঙ্গে যায়। তাই ছেলেটির ইস্কুলে আর যাওয়া হয়নি। অন্য এক অভিভাবক জানান প্রাথমিক পাশের পরে , হাই স্কুল অন্য গ্রামের হওয়ায় ছেলেটি আর স্কুল যেতে রাজি হয়নি। তাই পড়া এগোয়নি । বিডিও সঞ্জয় দাস জানান, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা বিষয়ে জানানোর পর, অভিভাবকরা সন্তানদের ইস্কুলে পাঠাতে রাজি হন বলে জানান তিনি।
এস আই মোহাম্মদ সোমেল শেখ বলেন জেলা প্রশাসনের তৈরি তালিকা দেখে বিডিও সাহেবের সঙ্গে স্কুলছুটেদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া হচ্ছে ।
ভাগরা মূলগ্রাম পঞ্চায়েতের উজনা সিজনা উচ্চ বিদ্যালয় ও বসন্তপুর হাই স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে পড়ুয়াদের বয়স অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্লাসে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান পাশাপাশি বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে বাদ পড়া পাঠক্রম পূরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। এইরম উদ্যোগ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় চলবে বলে জানান।