অবতক খবর,১৭ জুলাই,মলয় দে নদীয়া :-ছেলে ধরা সন্দেহে একাধিক জায়গায় কোন সময় মহিলা কোন সময় পুরুষকে,মারধরের অভিযোগ উঠে আসছে রাজ্যজুড়ে।
সেরকমই আবারও নদীয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এক মহিলাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকার মহিলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। সূত্রের খবর বুধবার সকাল হতেই এক মহিলা শান্তিপুর গোবিন্দপুর উত্তর পাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন।
তখনই তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে রেখে মারধর করার অভিযোগ উঠল এলাকার মহিলাদের বিরুদ্ধে। তারপর তার কাছে থাকা একটি ব্যাংক থেকে টাকা পয়সা,বই,খাতা, কলম ইত্যাদি জিনিস পাওয়া গেলে আরো সন্দেহ বাড়ে এলাকাবাসীর, তারপর তার ওপর নির্যাতন শুরু হয় বলেই জানা যায়। ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়। তবে পুলিশ সূত্রে খবর ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন। কিছুদিন আগে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। তারপরই আজ শান্তিপুরের গোবিন্দপুর উত্তরপাড়া এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন।তখনই এলাকাবাসী তাকে ছেলে ধরা সন্দেহে গাছের সাথে বেঁধে রাখে। যদিও পরবর্তীতে পুলিশের তরফে ওই মহিলাকে তার পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলার বাড়ি শান্তিপুর থানার হরিপুর সাহেবডাঙ্গা এলাকায়। আবারও এই ঘটনা যাতে পুরনবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে এলাকায় প্রচার চালানো হচ্ছে। যদিও মারামারির ঘটনা কি ঘটেছে তার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।