অবতক খবর,২২ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- পুজোর পর থেকে একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্জা আছড়ে পড়েছে জেলায়। পশ্চিমী ঝঞ্জার বৃষ্টিতে বারবার দফারফা হয়েছে আলু সহ অন্যান্য শীতকালীন ফসলের চাষবাস। ফের দরজায় হাজির পশ্চিমী ঝঞ্জা। আকাশে মেঘ জমতেই ফের ফসলহানীর আশঙ্কায় সিঁদূরে মেঘ দেখছেন জেলার আপামর আলু ও মরসুমী চাষের সাথে যুক্ত চাষীরা।
রাজ্যের প্রধান আলু উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। জেলার প্রায় ৫২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে চলতি বছর। ডালশষ্য চাষ হয়েছে ৭ হাজার ৫৮৪ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও ১৬ হাজার ২৭৭ হেক্টর জমিতে সরিষা ও ৮ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজীর চাষ হয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে এবার শীতকালীন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাঁকুড়া জেলায়। কিন্তু হাল ছাড়েননি কৃষকরা।
ক্ষয়ক্ষতির লোকসান পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ফের বীজ, সার ও শ্রম খরচ করে ফের চাষাবাদ করেছেন। এখন ফের পশ্চিমী ঝঞ্জার পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আকাশে জমতে শুরু করে কালো মেঘ। আর তাতেই সিঁদূরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন জেলার আলু ও মরসুমি ফসলের চাষীরা। যদিও কৃষি দফতর চাষীদের কিছুটা হলেও আশার কথা শুনিয়েছে। কৃষি দফতরের দাবি জেলায় ভারী বৃষ্টির পুর্বাভাষ নেই। পশ্চিমী ঝঞ্জার জেরে জেলায় হালকা বৃষ্টি হলে তেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে ভারী বৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে চাষীদের করণীয় কী তা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকাও দিয়েছে কৃষি দফতর।