অবতক খবর,১ সেপ্টেম্বর: ২ সপ্তাহের মাথায় বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম।২৫ টাকা বেড়ে কলকাতায় ১৪.২ কেজির ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম হয়েছে ৯১১ টাকা।
এক লাফে রান্নার গ্যাসের দাম ২৫ টাকা বেড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
পেট্রোল ১০২ নট আউট নার্ভাস ৯০তে ডিজেল। এবার ৯০০ পার করলো রান্নার গ্যাস। গতবছর ডিসেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে ৩২৭ টাকা। ফলে মূল্যবৃদ্ধির জ্বালায় নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থায় সাধারণ মানুষ ।
আগস্ট মাসের পর ফের দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের।
এর আগে ১৭ আগস্ট ২৫ টাকা বেড়েছিল রান্নার গ্যাসের দাম। সবমিলিয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে এলপিজি সিলিন্ডারের গ্যাসের দাম বাড়লো ৫০ টাকা।
আজ বুধবার ২৫ টাকা বেড়েছে ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের দাম।
শুধু চলতি বছরে এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়লো ২৪১ টাকা। এই নিয়ে পরপর তিনমাসে ২৫ টাকা করে
বাড়ল রান্নার গ্যাসের।
অন্যদিকে ৫ কেজি ছোট সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হল ৩৩৫ টাকা ।
বাণিজ্যিক ১৯ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৭৩.৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭৭০.৫০ টাকা।
তার ওপর রান্নার গ্যাসের দাম
বাড়লেও, সেই তুলনায় তলানিতে পৌঁছেছে সরকারি ভর্তুকি। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্তের মাথায় হাত।
করোনাকালে এমনিতেই মানুষের ঠিকমতো কাজ নেই
তার জেরে প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি যেমন কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ ঠিক তেমনি অনেকেরই বেতন কমেছে অর্ধেক, তাদের টান পড়ছে যেমন পকেটে তেমনি খরচা বাড়ছে মধ্যবিত্ত সংসারে।
আর তেমনি বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে বাজারে হু হু করে।
এখন রান্নার গ্যাসের দাম ৯০০ পার করায় রান্নাঘরের হেঁশেলে যে আগুন লাগবে এটাই আশঙ্কা সকলের। অর্থনীতিবিদদের মতে, দাম বেড়েছে বলে ব্যবহার করব না,
এমনটা কেউ ভাবতে পারবেন না,
কেরোসিন বা কয়লায় কেউই ফিরে যেতে পারবেন না। এটা মানুষকে নিতেই হবে। সাধারণ মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম খুব বেশি এমনটা নয়।
অর্থনীতিবিদদের একাংশের যুক্তি, একটা স্তরে সরকারের উচিত দাম নিয়ন্ত্রণ করা।
তাদের মতে রান্নার গ্যাস ও জ্বালানি জরুরি পণ্য। এর দায় এড়াতে পারে না সরকার। একটা স্টরে দাম নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।