অবতক খবর , অভিষেক দাস ,মালদা :- ফের ভাঙ্গন তৃণমূলে। সাংসদের উপস্থিতিতে প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যোগ দিলেন বিজেপিতে। আবার পাশের এক এলাকাতে আরেকটি যোগদান কর্মসূচিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সাংসদ এবং বিজেপি নেতাদের। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের ,সঙ্গে সংখ্যালঘুদের যোগদানকে মিথ্যে বলে কটাক্ষ তৃণমূলের।সব মিলিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার চাঁচল বিধানসভার খরবা গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় হাই স্কুল ময়দানে বিজেপির একটি যোগদান কর্মসূচি হয়।এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু,মালদা জেলা সম্পাদক এবং যোগদান প্রমুখ দীপঙ্কর রাম, জেলা সম্পাদক রতন দাস,বিজেপি নেতা কাজল গোস্বামী,সুভাষ কৃষ্ণ গোস্বামী সহ অন্যানরা। এখানে প্রায় ১০০ জন সংখ্যালঘু যুবক বিজেপিতে যোগ দেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই তৃণমূলের এবং কয়েকজন সিপিএম,কংগ্রেসেরও রয়েছে।এমনটাই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।
অন্যদিকে পার্শবর্তী কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নুরগঞ্জ গ্রামে বিজেপির আর একটি যোগদান কর্মসূচি ছিল।তাদের অভিযোগ সেখানে তাদের ঢুকতে দেবে না বলে বাধা প্রদান করছে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের দাবি ওখানে বিজেপি বলে কিছুই নেই। যোগদানকারীরা জানান তৃণমূল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে না ,তাই বিজেপিতে যোগ দিলেন।
দীপঙ্কর রাম বলেন, ” আজ শুভ মকর সংক্রান্তির দিনে ১০০ -র ও বেশি সংখ্যালঘু ভাইয়েরা বিজেপিতে যোগ দিলেন তৃণমূল ছেড়ে।কয়েকজন সিপিএম,কংগ্রেস থেকেও এসেছে। ” সঙ্গে তিনি বলেন, “এরপর নুরগঞ্জে আমাদের যোগদান কর্মসূচি আছে।
শুনছি ওখানে আমাদের সাংসদকে ঢুকতে দেবে না বলে বিক্ষোভ করছে গ্রামবাসীরা।কিন্তু ওখানকার যুবকরা বিজেপিতে যোগ দিতে চাই।চাঁচল এলাকায় ড্রাগস্ মাফিয়াদের রাজ চলছে।সেই মাফিয়ারা চাইছে না আমরা ওই এলাকায় ঢুকি।পুরোটাই তৃণমূলের চক্রান্ত।
এই প্রসঙ্গে খগেন মুর্মু বলেন, ” ওখানে আমি এখনো যায়নি। এটা তো তৃণমূলের সংস্কৃতি।ওখানে ওদের কিছু গুন্ডা হয়তো এমনি করে সন্ত্রাস তৈরী করার চেষ্টা করছে।কিন্তু আমাদের এইভাবে আটকানো যাবে না। ওখানকার যুবকরা যোগদান করবে আমরা যাব সেখানে।” বিজেপিতে যোগদানকারী তাজিমুল হক বলেন, “তিন বছর ধরে তৃণমূল করতাম। কিন্তু ওরা গরিবদের জন্য কাজ করে না।দুর্নীতি করে।তাই বিজেপিতে এলাম।”
এদিকে চাঁচল ১ নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী কটাক্ষ করে বলেন, ” তৃণমূল থেকে কোনো সংখ্যালঘু যোগ দেয় নি।এক,দুই জন মদ্যপদের নিয়ে বিজেপি এসব ভুয়ো ছড়াচ্ছে।আর নুরগঞ্জে বিজেপি বলে কিছুই নেই।ওদের বাধা কী জন্য দিতে যাব? এসব মিথ্যে।”
ভোট যত এগিয়ে আসছে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাদের বাকযুদ্ধে পারদ ততই চড়ছে। তৃণমূল,বিজেপির মধ্যে তো যেন শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলছে। হাই ভোল্টেজ এই ভোটযুদ্ধে শেষ হাসি কে হাসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।