নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: ২২শে নভেম্বর :: নদীয়া :: বিজেপি নেত্রী বৈশালী দাস দত্ত শিমুরালি তে সভা করতে আসার সময় আক্রান্ত হলেন। রানাঘাট থানার আনুলিয়া ঘোষ কলোনি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। তার অভিযোগ তাকে লক্ষ্য করে বোমা এবং তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
বোমা ছোড়ায় তার গাড়ির কাচ ভেঙে যায় এবং এখন তিনি রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে উঠে এসেছে। অন্তর তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গেছে বৈশালী দাস দত্ত জেলার রানাঘাট লোকসভার এমপি জগন্নাথ সরকারের লোক হিসেবে পরিচিত।কিন্তু বৈশালী দেবী নিজে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় এক বিজেপি নেতা প্রদীপ মণ্ডল কে দায়ী করছেন।
এই প্রদীপ মণ্ডল আবার রানাঘাট দক্ষিণ জেলা সভাপতি মানবেন্দু রায় লোক বলে পরিচিত। ঘটনার সূত্রপাত রানাঘাট দক্ষিণ জেলায় কে দলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হবে। এই দুজনাই দাবি করেন শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি হিসেবে। সূত্রে এটাও জানা যায় বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের দুজনের মধ্যে গোলমাল চলছিল। দুজনাই নিজেকে সভাপতি বলে দাবি করেন। অন্যদিকে বৈশালীর অভিযোগ করেন আমাদের দলেরই প্রদীপ মণ্ডল ওই কান্ড ঘটিয়েছে।
বৈশালী বলেন আমি আমাদের দলের শ্রমিক সংগঠনের রানাঘাট দক্ষিণ জেলার সভাপতি আমার কাছে সেই কাগজ রয়েছে ,কিন্তু প্রদীপবাবু তিনি এখন আমার এই জায়গাটায় নেতা হতে চাইছেন। এই দিন আমি শিমুরালি তে সভা করতে যাওয়ার সময় পায়রাডাঙ্গা ঘোষপাড়া রাইস মিলের সামনে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় প্রদীপ মণ্ডলের লোকজনেরা আক্রমণ করেন।
অন্যদিকে প্রদীপ মণ্ডল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন কয়েকদিন আগে আমাকে রানাঘাট দক্ষিণ জেলার দলের শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এখনো নতুন করে কমিটি গঠন করে উঠতে পারিনি। আমার বিরুদ্ধে বৈশালী দেবী ঠিক কি বলেছেন জানিনা তবে আমার কোথাও সেই অর্থে লোকজন নেই।রানাঘাট সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন এই বিষয়টির ব্যাপারে মানবেন্দ্র রায় ভালো করে বলতে পারবেন।অন্যদিকে নদিয়া দক্ষিণ জেলার বিজেপি সভাপতি মানবেন্দ্র রায় বলেন বৈশালী দেবীর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার কথা আমি কিছু জানিনা অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখব।