কল্যাণী বইমেলা– রজত জয়ন্তী বর্ষ।
বই বই আর বই।বই কি বলছে শুনুন…
বই কথা বলে যায়
তমাল সাহা
শীতের রাতে শিশির মেখে নেয়
বিশাল প্রাঙ্গণের ঘাস।
অন্ধকারে নক্ষত্রের আগুন জ্বলে
উপুড় হয়ে দেখে আশ্চর্য আকাশ।
আকাশ বলে কি এমন ওখানে
এত মানুষের সমাবেশ!
শৈত্যের প্রবাহকে তুড়ি মেরে
এ কোন আনন্দঘন উষ্ণতার পরিবেশ?
এত মানুষ রঙ বেরঙের পোশাকে
শীতের প্রহরে—
এ কোন প্রজ্ঞার অগ্নিস্নান
ছোট ছোট স্টল, বইয়ের ঘরে
কাদের এতো আগ্রহী অভিযান!
মানুষ দেখে বইয়ের পর বই
তাকে তাকে কত কত বই ও পুঁথির সারি
সাদা কাগজের ভিতর কালো অক্ষর—
এরা কারা? ডাকে আয় হাত ধরি।
বই ধরো, স্পর্শ করো, খোলো, পাতা ওল্টাও
দেখো, বই কেমন বলে কথা—
রোজ রোজ না হোক বছরে তো কয়েকদিন
তোমার সঙ্গে আমার দেখা।
বই বলে, আমি তো ক্লীবলিঙ্গ নই
আমি তোমার ভালোবাসা, তোমার প্রেমিকা।
তোমার স্পর্শে বোধ ও চেতনার বৈভব
তোমার আমার বন্ধনে আরও আরও সৃজনের জয়টিকা।
তুমি স্পর্শ করো, স্পর্শ করো আমায়
নাহলে তো আমি অহল্যা— পাথর।
বই ও মানুষের সংহতিতে ছড়িয়ে পড়ে সুগন্ধি আতর।
অক্ষরের আগুন বুকে নিয়ে শুধু তোমার প্রতীক্ষা।
টেনে নাও কাছে,জয়ী হোক প্রেমের পরীক্ষা।
প -এ পুস্তক,প -এ প্রেম,
প- এ প্রগতি,প-এ প্রাণ—
এত ভালোবাসো তুমি আমায়!
বইয়ের জন্য হাঁটো পদাতিক চলমান।
বইমেলা মিলন মেলা,মিলন স্হান
বই হাতে মানুষ, অগ্নিহীন আগ্নেয়াস্ত্র
দীপ্ত শিখা, কালজয়ী জ্বলে অনির্বাণ…