বঙ্গীয় পার্থপর্ব
তমাল সাহা

১) সমর্পণ

কৃষ্ণা অর্জুনের নিকট প্রণত হইয়া কহিল
হে পার্থ! তুমিই আমার গুরু তুমিই
আমার পিতা ।
আমাকে গ্রহণ করো আমি তোমার অর্পিতা।

২) শ্রীকৃষ্ণ কথা

শ্রীকৃষ্ণ কহিলেন, এবার
সমাপন করি।
শোনো গীতার মূল অর্থ —
প্রিয়ার কাছে অর্থ ইকুয়াল টু পার্থ!

৩) কালীঘাট চলো!

ধর্মতলা চলো!
শহীদ দিবস একুশে জুলাই।
এবার কালীঘাট চলো!
নতুন শহীদ দিবস
খুন করল বাইশে জুলাই
ঘাতক ইডি-সিবিআই।

দলে দলে যোগ দাও
আজ বিশাল জনসভা
বক্তা শ্বেতশোভা মনোলোভা!

৪) নাম পরিবর্তন

কি ঘটনা ঘটে গেল বঙ্গ উপত্যকায়
এক চেম্বারে
গিয়ে দেখি শত শত মানুষের ভিড় দরোজায়
সকলেই হলফনামা দিয়ে নিজের নাম পার্থ পরিবর্তন করতে চায়?

৫) অনুসন্ধান

সকালে উঠেই মেয়ে বলে,
বাবা কুবেররা থাকে কোথায়?
আমি বলি, সে তো পুরনো গল্প, কুবেরের ধনের কথা জানি
আর তো কিছু আসছে না মাথায়!

মেয়ে বলে, আমি জানি তারা থাকে কোথায়।
মন্ত্রিসভায়, বিধানসভায়— খিদিরপুরে, কালীঘাটে, বেহালায়!

৬) নাকতলার পুজো

একটি ফ্লেক্সে দেখলাম, লেখা–
বাংলার পুজোর মুখ।
গাঙ্গেয় ভুমে এখন গভীর অসুখ।

অর্পিতা মোনালিসারা কোথায়?
এবার পুজো হবে কি নাকতলায়!