অবতক খবর,২১ মার্চ: কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ রোডে অবস্থিত বহু পুরনো রাধা কৃষ্ণের মন্দির হরিসভা। এই মন্দিরের দেখাশোনা করেন প্রয়াত ত্রিলোচন রথের পুত্র অভয় কুমার রথ এবং তাঁর দাদা।
অভয় বাবুর দাদা সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে থাকেন। গতকাল গভীর রাতে তিনি যখন ঐ বাচ্চাদের নিয়ে শুয়ে পড়েন হঠাৎ তার ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখতে পান তার পাশে বসে রয়েছে এক যুবক। তিনি হতচকিত হয়ে উঠে বসেন এবং ওই যুবককে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনাটি গতকাল গভীর রাত আড়াইটেয় ঘটে।
ওই যুবককে তারা চিনতে পারেন। কারণ সে ঘটক রোডেই থাকে। ওই যুবক অঞ্চলে লাদেন নামে পরিচিত এবং তার বিরুদ্ধে এর আগেও ছোটখাটো চুরির অভিযোগ রয়েছে অর্থাৎ ছেলেটি চোর।
অভয় বাবু জানান, তাঁর দুটি মোবাইল ফোন চুরি গিয়েছিল । কিন্তু পরে তা পাওয়া গেছে। তবে কানের একজোড়া সোনার দুল পাওয়া যাচ্ছে না।
হরিসভার পেছন দিক দিয়ে ওই যুবক ঢুকেছিল। তবে প্রকৃত মন্দিরের দরজা সে ভাঙতে পারেনি।
হরিসভায় নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। ওই যুবককে ধরার জন্য যখন চেঁচামেচি শুরু হয়,তখন ঘুম ভেঙে যায় আশেপাশের মানুষের, কিন্তু শেষমেশ ওই চোরকে ধরা যায়নি।
ওই চোর যুবকটি যে দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছিল তাতে ফোন করা হলে একটি নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় এবং অপরটি রিং হয় এবং এক মহিলা ফোন ধরেন। ওই মহিলা বলেন, “আমার ছেলে দুটি ফোন নিয়ে এসেছে। আমি দিয়ে যাচ্ছি, তবে আপনারা থানায় অভিযোগ করবেন না।”
পরবর্তীতে ওই চোর যুবকের মা এসে সকালে ফোন দুটি হরিসভার পুরোহিত অভয় কুমার রথের কাছে দিয়ে যান। এরপর তারা থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান।
অভয় বাবু আমাদের জানান যে, বীজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে গেলে দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বলেন, চুরির অভিযোগ দায়ের করার প্রয়োজন নেই। আপনি মিসিং ডায়েরি করুন।
এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভয় বাবু। তিনি সমস্ত সাংবাদিকদের ডাকেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, পুলিশ বলছে চুরির অভিযোগ দায়ের না করে মিসিং ডায়েরি করতে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, পুলিশ ওই চোরকে কেন বাঁচাতে চাইছে? আর একজন সাধারণ নাগরিককে পুলিশ কিভাবে এই পরামর্শ দিতে পারে? কারণ যে ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনার অভিযোগ না নিয়ে অন্য সাজানো ঘটনা দিয়ে কেন অভিযোগ দায়ের হবে? তাহলে নগরবাসীর নিরাপত্তা কোথায়?
মন্দিরের সেক্রেটারি এবং অন্যান্য সদস্যরা ও পুলিশকে আবেদন করেছেন যাতে এই চুরির অভিযোগ দায়ের করেন।