নিজস্ব সংবাদদাতা :: অবতক খবর :: নৈহাটী ::আজ সাতসকালেই বাম ও সহযোগী দলের ডাকে যে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল তাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
তবে এই বনধকে কেন্দ্র করে সাময়িক কিছু উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রাস্তা দিয়ে যে সকল গাড়ি, বাস এবং স্কুলবাস চলছিল তাদেরকেও বনধ সমর্থন করার অনুরোধ করা হয়েছিল। এমনও চোখে পড়েছে নৈহাটি পৌরসভা সংলগ্ন অঞ্চলে এবং ট্রাক ড্রাইভার বিহীন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল।
বনধকারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় চলন্ত বাস ও ট্রাক ড্রাইভার বিহীন অবস্থায় এই ভাবে দাঁড়িয়ে ছিল যে কোন মুহূর্তে যে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
এরপর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে কাঁপা ট্রাফিক গার্ডের এএসআই প্রশান্ত ঘটককে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন এবং অতিসত্বর তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ওই বাসটিকে সরানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ প্রশাসন। যদিও রাস্তা অবরোধ করাকালীন অ্যাডিশনাল সিপি ইতিমধ্যেই উপস্থিত হয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে নৈহাটি থানার পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে নৈহাটি স্টেশনে আপ এবং ডাউন ট্রেন চলাচল দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল।
সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দেখা যায় ডাউন পাটনা কলকাতা এক্সপ্রেস ৫ নম্বর লাইন দিয়ে চলে যাচ্ছে। প্লাটফর্মে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা জানান,এই দুরবস্থার কারণে তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।
কিন্তু সাড়ে নটা নাগাদ পরপর দুটি ট্রেন ডাউন লাইনে চলে যাবার পর ঘোষণা করা হয় শ্যামনগরে ২৪ নম্বর রেলগেটের কাছে আবার নতুন করে অবরোধ শুরু হয়েছে।
সেই কারণে ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে এবং দীর্ঘসময় ট্রেনটি আটকে থাকে। ড্রাইভার এবং গার্ড এর প্রতিক্রিয়ায় জানা যায়, ঘন্টাখানেক দেরিতে চলছে সমস্ত ট্রেন। কিন্তু কন্ট্রোলরুম থেকে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
অন্যদিকে বাম ট্রেড ইউনিয়নগুলো এবং জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবরোধ করার জন্য পতাকা নিয়ে ট্রেন লাইনে বসে পড়ে এবং দীর্ঘ সময় তারা অবরোধ করে।
সেখানে আরপিএফ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর ওমপাল সিং উপস্থিত হন এবং তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তিনি এড়িয়ে যান। সেইসঙ্গে স্টেশন ম্যানেজার সংবাদ প্রতিনিধির প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ। যদিও পরে দেখা যায় আরপিএফ বাহিনী এসে রেললাইনকে দখলমুক্ত করে।