অবতক খবর,২ আগস্ট,বাঁকুড়া:- মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদের জলের প্লাবিত জলবন্দী গ্রামে এলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। রাজ্য তৃণমূলের সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী,তৃণমূল বাঁকুড়া জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দলটি বেলা ২টা নাগাদ এসে পৌঁছান সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদের জলে প্লাবিত সমিতি মানা গ্রামে। তবে গ্রামের মানুষের দাবি,রাজ্য সম্পাদিকা তাদের গ্রামে এসে মানুষের অভাব অভিযোগ কিছুই শোনেননি, এমনকি জলের তোরে যে বাঁধ ভেঙেছে সে বাঁধ পরিদর্শন করেননি তিনি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জয়মালা বিশ্বাস জানান, সকাল থেকেই আমরা অপেক্ষা করছি তৃণমূল নেত্রীকে আমাদের অভাব-অভিযোগ শোনাবো। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী আমাদের কোন কথাই শোনেন নি, ঘাটের পাড় থেকে তিনি ঘুরে চলে গেছেন।
আরেক গ্রামবাসী অনিমা ভক্ত জানান, ম্যাডাম কি করতে এসেছিলেন? না আমাদের সাথে কোনো কথা বলেছেন, না আমাদের কোন অভাব অভিযোগ শুনেছেন, এমনকি মূল ভাঙ্গন যেখানে সেখানেও তিনি যাননি।
এলাকা পরিদর্শনে এসে তৃনমূল রাজ্য সম্পাদক জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় এসেছেন।এলাকার মানুষ প্রচুর কষ্টের মধ্যে রয়েছেন, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার মানুষের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী কাছে তুলে ধরবেন। এলাকার মানুষের সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয় সেটার ব্যবস্থা করার কথা জানান তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। এলাকার দামোদরের ভাঙ্গন রোধের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সমীর চক্রবর্তী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে বিজেপি সাংসদ রয়েছেন এই এলাকায়।এর আগে সি পিএমের বিধায়ক ছিলেন এই এলাকায়। বর্তমানে বিজেপি বিধায়ক রয়েছেন, তারা এই সমস্যার সমাধান নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিজেপি সাংসদ নিজের সাংসদ তহবিল থেকে কেন এখানে ভাঙ্গন রোধের ব্যবস্থা করেননি,প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল রাজ্য নেতা সমীর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, তৃণমূলের সরকার দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করবে।
এ বিষয়ে সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী জানান, উনারা এলেন অথচ এলাকার মানুষের সাথে কথাই বললেন না। সেলিব্রেটি এনে এলাকার উন্নয়ন করা যাবে না। এলাকার উন্নয়ন করতে হলে এলাকার মানুষের সাথে কথা বলতে হবে ।