মনে পড়ে সেই সুটিয়া কান্ড? ধর্ষণের ক্রমান্বয়ের ইতিহাস। সুটিয়া হয়ে উঠেছিল ধর্ষণ উপত্যকা। তার উপরে ছিল লুম্পেনের রাজত্ব, সাট্টা,চোলাইয়ের ঠেকের রমরমা। একজন মাত্র সাচ্চা প্রতিবাদী। একজন মাত্র লড়াকু। তরুণ শিক্ষক বরুণ বিশ্বাস। আজ ৫ ই জুলাই — প্রয়াত বরুণকে শ্রদ্ধা।
বরুণের প্রতি খোলা চিঠি
তমাল সাহা
রাত্রির তমসা আরও ঘন হয়ে আসে
রক্ত উজান বেয়ে চলে বঙ্গীয় বাতাসে
বোমা বারুদ কার্তুজের উচ্ছ্বাসে
ঘাসের পাশে ঘাস– ভরে যায় লাশে।
কোনো কিছুই কমা ভালো নয়
আমরা চলেছি বৃদ্ধির অভিমুখে
চোলাই সাট্টা ধর্ষণ কাটমানি নিয়ে
ভালো আছি সুখে।
তুমি যাবার পর কত
জানা অজানা মস্তান পুলিশ
ছুঁড়েছে আরও কত কার্তুজ
রাষ্ট্র -ঘাতক দুহাতে দুহাত মিলেছে আজ
গড়েছে চতুর্ভুজ।
কামদুনি বারাসাত ভাঙর
জুড়ে যাচ্ছে আরও কত নাম
এসব খবর ক্লিশে আজ
হয় না শিরোনাম।
ধর্ষণ শব্দটি এখন জলভাত
যার যায় তার যায়
আমাদের শিরে করাঘাত।
বরুণ কখনও বাত্যা, কখনও ঘূর্ণি, কখনও টর্নেডো, কখনও টাইফুন
বলো কীকরে রুখবো আমরা
এত রক্তস্রোত ও খুন?
কাটমানির এই দেশে শাসকই
গরিবের টাকা কেড়ে খায়
কার বিরুদ্ধে লড়বো আমরা
কোথায় যাবো কী করি উপায়!
তুমি কি জানো
বাগানের সব ফুল এখন শেষ
এক ফুল দুই ফুলে ভরে গেছে দেশ
রাজনৈতিক দ্বেষ ছড়িয়েছে একরাশ
লবণাক্ত জলবায়ু, ডেকে বলে বাতাস—
আজ কার সর্বনাশ!
শান্তির বারিপাত কে আনবে?
বলো বরুণ
মানুষ কি তবে হেরে যাবে নাকি?
পরস্পর চেয়ে আছে পরস্পরের দিকে
কবে মন্দ্রিত হবে শুদ্ধিমন্ত্র, জ্বলবে আগুন!