অবতক খবর:বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আইনের নাম পালটে দিল রিও ডি জেনেইরো সরকার। সেদেশের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের নামেই এই আইনের নাম রাখা হল। চলতি বছরে লা লিগা চলাকালীন ধারাবাহিকভাবে বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণের শিকার হতে হয় ভিনিকে। যেভাবে সমস্ত সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ব্রাজিলীয় তারকা, সেই লড়াকু মানসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েই আইনের নাম পরিবর্তন করেছে রিও সরকার। এমন সম্মান পেয়ে অভিভূত রিয়াল মাদ্রিদের তারকা ফুটবলার।
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে ভিনিসিয়াস যেভাবে রুখে দাঁড়িয়েছেন, সেই লড়াইকে সম্মান জানিয়েই আইনের নাম পালটেছে রিও সরকার। খেলার মাঠে যদি বর্ণবিদ্বেষী আচরণ ঘটে, তাহলে খেলা বন্ধ করা বা বাতিল করা যেতে পারে এই আইনের মাধ্যমে। সদ্যই এই আইনের নাম বদল করা হয়েছে। কয়েকটি নিয়ম পালনের পরেই কার্যকরী হবে ভিনি জুনিয়র আইন। ব্রাজিলের মারকানা স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান করে আইনের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা করেছে রিও সরকার।
এমন সম্মান পেয়ে অভিভূত রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। তিনি বলেন, “এত কম বয়সে এমন সম্মান পাব ভাবতে পারিনি। জানি না এতকিছু পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কিনা।” আইনের নাম বদলের পাশাপাশি রিও ডি জেনেইরো সরকারের তরফে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ভিনিকে। মারকানা স্টেডিয়ামের ওয়াল অফ ফেমে তাঁর পায়ের ছাপও বাঁধিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগে মাত্র তিন ফুটবলার- পেলে, গ্যারিঞ্চা ও রোনাল্ডো এই সম্মান পেয়েছেন। রিওর ক্রীড়া সচিব রাফায়েল পিচিয়ানি বলেন, “ফুটবল কেরিয়ারে যাবতীয় সাফল্যের পাশাপাশি বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছেন ভিনিসিয়াস।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া বনাম রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচে গ্যালারি থেকে বারবার বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা হয় ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে উদ্দেশ্য করে। ম্যাচ থামিয়ে গ্যালারির দর্শকদের চিহ্নিত করেন ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড। তার জেরেই ভিনির সঙ্গে বচসাও শুরু করেন ভ্যালেন্সিয়ার ফুটবলাররা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় ভিনিকে। তবে শাস্তির মুখে পড়তে হয় ভ্যালেন্সিয়াকে। প্রায় ৫০ হাজার ডলার জরিমানার পাশাপাশি পাঁচ ম্যাচের জন্য বন্ধ রাখা হয় ভ্যালেন্সিয়ার গ্যালারি।