অবতক খবর,১০ নভেম্বর: ২০২৪ এর শেষের দিকে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বে রোগ মুক্ত মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত কমের দিকে দেখা যায়। প্রত্যেক চিকিৎসকের এটি একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে এবং বিজ্ঞানের ভাষায় রোগগুলি মূল কান্ডারী হল ক্রনিক ডিসঅর্ডার।
কেমব্রিজের ইলুমিনা কোম্পানির বিজ্ঞানী ডাক্তার মিঠুন সাঁতরা উদাহরণ সহকারে বলেছেন – “আমাদের শরীর একটা গাড়ির মতো। গাড়ির ভালো রাখার জন্য নিয়মিত সার্ভিসিং করা হয়, তেমনি শরীরেরও যত্ন নেওয়া জরুরি। যদি গাড়ির ইঞ্জিন খারাপ হয়ে যায়, তাহলে গাড়ি চলতে পারে না, ঠিক তেমনি শরীরের যত্ন না নিলে ক্রনিক রোগ হতে পারে। এই রোগগুলি ধীরে ধীরে শরীরকে দুর্বল করে তোলে এবং যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।”
কেমব্রিজের বিজ্ঞানী মিঠুন সাঁতরার গবেষণা অনুযায়ী এই রোগটির শুরুতে চার থেকে পাঁচ রকম লক্ষণ দেখা যায় যেমন দেহে দুর্বলতা, শরীরে ঘাটে ঘাটে ব্যথা, মুখে দাগ থাকা এবং কম বয়সে মাথার চুল উঠে যাওয়া। এই পাঁচটি লক্ষণ বয়সে দেখা গেলে অবশ্যই সঠিক চিকিৎসা সময় মতো নেওয়া উচিত। সঠিক চিকিৎসার ফলে এই রোগটি প্রথম দিকেই নির্মূল হওয়া সম্ভব।
ডাক্তার মিঠুন সাঁতরা বলেছেন এইসব নানান রোগের উৎপত্তি দেহে গাট ( Gut ) থেকে , এখনকার সময় প্রত্যেক ঘরে ঘরে প্যাকেট দুধ, পনির, বেবি ফুড, ফলের রস সহ আরো খাদ্য ও পানীয় ফলের রস আমরা গ্রহণ করি এর ফলে ওই প্যাকেটে থাকা টক্সিক কেমিক্যাল আমাদের দেহে থাকা গাট ব্যাকটেরিয়া কে কমজোর করে তোলে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আস্তে আস্তে দেহ থেকে কমতে থাকে।
এর ফলে প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে মহামারীর মত এই ক্রনিক ডিসঅর্ডার নামক রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে । শুধু তাই নয় এই রোগটি নামের শুরুতেই ক্রনিক অর্থাৎ দীর্ঘস্থায়ী থাকে, এর ফলে এখনকার যুব সমাজের ক্ষেত্রে বড় প্রভাবশীল হয়ে উঠেছে কারণ এর ফলে স্মৃতিশক্তি অথবা ধারণ ক্ষমতায় বিঘ্ন ঘটায় ।
কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায় একটাই সেটা হলো নিজের শরীরের গাট ব্যাকটেরিয়াকে শক্তিশালী করে তোলা তার জন্যে প্যাকেটিং খাদ্যকে, বাসি খাবার, পোল্টির মাংস কে সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে তার সাথে সবুজ সবজি, টাটকা ফলের রস, তেতো খাবার (যেমন নিম ,উড়ছে) এবং পরিমাণ মতো জল খেতে হবে এইসব খাদ্য তে আমাদের দেহে থাকা গাট ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি হবে ফলে শরীরে সম্পূর্ণ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শরীর চর্চার দিক থেকে পর্যাপ্ত ঘুম এবং ব্যায়াম জরুরী ফলে দ্রুত ক্রনিক ডিসঅর্ডার নামক রোগকে জয় করা সম্ভব ।