অবতক খবর , পিন্টু প্যাটেল , বর্ধমান :- দুয়ারে সরকারের চতুর্থদিনে ক্যাম্প সরজমিনে দেখতে বর্ধমানে এলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায়। ক্যাম্পের কাজকর্ম ও মানুষের আগ্রহ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তবে ক্যাম্পে সামাজিক দূরত্ব বিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। শুক্রবার তিনি কলকাতা থেকে সোজা যান পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। সেখানে তিনি ভাতারের নাসিগ্রামের স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন।

স্টেডিয়ামের কাজকর্ম কি ভাবে হবে সেই বিষয়ে তিনি সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।তারপর তিনি যান ভাতারের বড়বেলুন ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়বেলুন মোহিনীমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে।সেখানে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প বা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

সহায়তা শিবির পরিদর্শনে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায়ের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, ভাতার ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তপন সরকার সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।

এরপর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায় যান সার্কিট হাউসে। সেখানে জেলাশাসক এনাউর রহমান ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।আধ ঘন্টার বৈঠক শেষে তিনি যান বর্ধমান শহরের দুয়ারে সরকার ক্যাম্প টাউনহলে।সেখানে তিনি উপভোক্তাদের সঙ্গে কথা বলে খোঁজ খবর নেন ক্যাম্পের ব্যবস্থপণা নিয়ে।তিনি ক্যাম্পের কর্মীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন পরিকাঠামো নিয়ে।তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক এনাউর রহমান।

প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুণ রায় বলেন আগ্রহী মানুষজনের ভিড় চোখে পড়লো ক্যাম্পগুলিতে।প্রতিটা ক্যাম্পেও প্রচুর লোকজন হাজির হচ্ছেন। রেশন কার্ড নিয়ে মানুষের ক্ষোভ নিয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন এইসব জানতেই তো ক্যাম্প পরিদর্শন করা।

তবে জেলাশাসক এনাউর রহমানকে সামাজিক দূরত্ব বিধি নিয়ে জিজ্ঞেস করায় তিনি তার কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।তিনি বলেন মানুষের আগ্রহ আছে।তাই এত মানুষজন ক্যাম্পে হাজির হচ্ছেন।

ভাতারের বড়বেলুন থেকে বর্ধমানের টাউনহল সব জায়গাতেই একই ছবি।বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় বা মানা কার্যত শিকেয়। টাউনহলে এদিন বিশাল লম্বা লাইনে ভিড়ে ঠাসাঠাসি করে মানুষজন দাঁড়িয়ে ছিলেন।রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে জেলাশাসক এনাউর রহমান কিছু বলতে অস্বীকার করেন।