বাংলায় ‘বলো’ শব্দটি এখন ‘খিল্লি’ খাচ্ছে।
বলো শব্দে ভেসে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। এদিকে বলো ওদিকে বলো,দিদিকে বলো, বৌদিকে বলো,ঘরের ছেলেকে বলো। খালি বলো আর বলো। যারা এতো বলোবাজ তারা এতদিন কোথায় ছিল? তারা কি স্বর্গে ছিল? নরকে ছিল? পাড়ায়,শহরে,গ্ৰামে হয়েছে বা কি হচ্ছে তারা দেখেনি? তাদের চোখ নেই? এখন তাদের কী বলতে হবে বলো?

বলো
তমাল সাহা

ট্রেনের কামরায় দেখেছিলাম ‘যেকোন সমস্যা দূর করতে আমাকে বলো।’
নীচে লেখা ছিল ‘লালবাবা’।
এখন বোঝা যাচ্ছে না
এই ‘বলো’রা-কোন বাবা?
এখন তাদের কেন এতো রবরবা?

এই রাজনীতির বাবারা
‘বলো’ নিয়ে আসরে নামলো।
জ্যোতিষী বাবাদের মাথায় বাজ পড়লো।
এই ‘বলো’ ওদের কামাইয়ে ভাগ বসালো।
এক জ্যোতিষী বললো,ওরা লিখেছে,
‘যে কোনো সমস্যায় আমাকে বলো’
‘ঐসব’ রোগের কথা ছেলেরা মেয়েরা কি করে ওদের বলবে বলো?

এমন ‘বলো’র পাল্লায় পড়ব ভাবিনি কোনদিনও।
ভেবেছে কেউ কোনদিন এমন কি তুমিও!
চারদিক থেকে ঘিরে ধরেছে- বলো ! বলো!

প্রথম শুনলাম জয় শ্রীরাম বলো।
দিদিও সেই শব্দটা পুরোপুরি খেলো।
আর তা শুনে দিদি রেগে গেল।
পরে এই শব্দটা দিদি এমন খেলো
শুরু করে দিল ‘দিদিকে বলো’।

এখন দাদা এসে ভাগ বসালো।
সেএসে এবার বলল, ‘দাদাকে বলো’।
‘বলো’র তো অবস্থা খুবই খারাপ।
‘বলো’ হাতজোড় করে চাইছে মাপ,
‘আমায় ছাড়ো ছাড়ো’। তাও কি হয়?
এবার তাকে টেনে ধরল পাড়ার ছেলে বিজয়।

সে বলল, এবার ‘ঘরের ছেলেকে বলো’।
‘বলো’ এবার উঠল ফুঁসে,
বলল, ‘বলো’ ছাড়া আর কোনো শব্দ পেলে না শেষে?

এখন বলছো ঘরের ছেলে
এতদিন কোথায় ছিলে?
তুমি কি ছিলে পরের ছেলে?
ওঠাবে বলেছিলে লোটো সাট্টা।
ওঠেনি তো!এখন বলছ ওসব ঠাট্টা।
ব্যাস!কোত্থেকে শ্রাবণী উঠে এল‌।
বলে, এবার ‘বৌদিকে বলো’।

এসব দেখে তো ‘বলো’র হয়ে গেল।
বলল শেষে,
হয়েছে অনেক এবার বলো, হরি হরি বলো।