অবতক খবর,৫ নভেম্বর: বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয় সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে অধীর চৌধুরী জানালেন, তৃণমূলের বড় বড় নেতারা এই বহরমপুর বিধানসভায় বিজেপি আসন লাভ করে কংগ্রেসকে দোষ দিচ্ছে। তিনি মনে করাতে চান বহরমপুরের বাইরে বিধানসভা গুলো তাহলে তৃণমূল করলো কি করে আসলে মমতা ব্যানার্জি মালদা মুর্শিদাবাদের বাইরে গেলে মন্দিরে পূজাচনা করেন। কিন্তু তিনি যখন মুর্শিদাবাদে আসেন তখন তিনি মুসলিমদের তোষামোদ করেন । আসলে রাজনীতি তাকে বিজেপি এবং তৃণমূল হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ সৃষ্টি করেছে এই ভোটে প্রমাণিত।  বিজেপির বলেছে হিন্দুদের ভোট দিতে অথচ দিদি মুসলিমদের তোষামোদ করছেন বিজেপি বিধানসভা 77 টা আসন লাভ করেছে তাহলে সবকিছুতেই কি কংগ্রেস মদ করেছে এটা একবার ভেবে দেখুন এছাড়া বিজেপির বাড়বাড়ন্ত আপনারাই লাল কার্পেট পেতে নিয়ে এসেছেন।

যেভাবে রাজ্যে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে সেটি খুব চিন্তার কারণ বলে মনে করেন অধীর চৌধুরী তিনি জানান কিছুদিন আগেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন প্রাণ হারায় এর জন্য বিশেষ করে দরকার ট্রমা সেন্টার রাজ্যের কোথাও আছে বলে তার জানা নেই তার বক্তব্য গোল্ডেন আওয়ার এটা একটা সোনালী সময় যেখানে কেউ দুর্ঘটনায় পড়লে এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে তাকে চিকিৎসা করাতে পারলে সেই ব্যক্তি প্রাণে বেঁচে যেতে পারে কিন্তু এখানে দুর্ঘটনা ঘটলে হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ না হয় মালদা মেদিক্যাল কলেজ অথবা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসতে হয় আনতে যে সময় লাগে সেখানে রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয় না তাই তার বক্তব্য আগে ট্রমা সেন্টার চালু করা হোক যাতে মানুষ সময়ের মধ্যে চিকিৎসা পায় এবং প্রাণে বাঁচতে পারে।

গতকাল রাত্রে প্রয়াত হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় অধীর চৌধুরী জানান সুব্রত তার মৃত্যু বেদনাদায়ক দীর্ঘদিন ধরে আমরা রাজনীতি করেছি কিছুদিন আগে s.s.k. হাসপাতালে দেখা করতে গিয়েছিলাম স্বাস্থ্য ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছি সুব্রত দা কথা মনে পড়ে যখন আমাকে মিথ্যা কেসে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল তখন বহরমপুরে এসে তিনি বড় ভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন কিন্তু ডাক্তারের কথামতো আর বেশি সেদিন কথা বলা হয়নি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে বসে একদিন অনেক গল্প করা হবে পুরনো দিনের সব কথাগুলো মনে পড়ছিল সুব্রত দার সঙ্গে কথা বলতে বলতে।

যিনি এখন তৃণমূলের নেত্রী তার পাশে রাজ্যের 1 মন্ত্রী যে এক টাইমে বহরমপুর এসে মমতা ব্যানার্জিকে গালাগাল করছে সে এখন মমতা ব্যানার্জির পাশের মানুষ একদিন সবাইকে অধীর বাবু কংগ্রেস কর্মীদের বলেছিলেন রাজনীতি নিয়ে কথা হলেও ব্যক্তিগত কাউকে আক্রমণ না করাও ভালো তাই এই সবাই তার থাকার দরকার নেই বলেও বলেছিলেন আর সেই মন্ত্রীরা এখন তৃণমূলের হয়ে বহরমপুরে এসে কংগ্রেসকে ভাঙার চেষ্টা করে যাচ্ছে।