অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :-    এবার রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে তার বিধানসভা কেন্দ্র ডোমজুড়ে পোস্টার পড়ল। পোস্টারে লেখা আছে স্যুটে বুটে পরিযায়ী আর নয় ,এবার ভূমিপুত্র চাই। পোস্টারে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আছে। সৌজন্যে ডোমজুড় কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ।

আজ সকালে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা ডোমজুড় এর শলপ এবং বাঁকড়ায় এই পোস্টার দেখেন। এর আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর অনুগামীরা তার এবং শুভেন্দু অধিকারীর ছবিসহ পোস্টার মেরেছিলেন ডোমজুড় এবং হাওড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়। উল্লেখ্য রাজীব বন্দোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরে বেসুরো। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে তার দু’দফা কথাও হয়। এখন দেখার পরিস্থিতি কোন দিকে যায়।

প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক অতীতে ডোমজুড় বিধানসভার লাগোয়া বালি বিধানসভা এলাকায় বিধায়ীকা বৈশালী ডালমিয়া কে বহিরাগত বলে পোস্টার দেখা যায়। এলাকার বাদমতলা মোড়ে ছেয়ে গেছিলো পোস্টার। সেই পোস্টারে দলের সুপ্রিমো কে উদেশ্য করে বলা হয়েছিল এবার আর কোনো বহিরাগত নয়। বরং বালির মানুষকেই প্রার্থী করতে হবে। সেই পোস্টারে লেখা ছিল প্রচারে সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা।

 

সেই প্রসঙ্গে বিধায়ীকা বলেন তিনি কোনো বহিরাগত নন। বালিতে তার নিজের বাড়ি আছে বিষয় সম্পত্তি আছে।
সেই পোস্টারের নীচেও লেখা ছিল সক্রিয় তৃণমূল কর্মীরা। সেই পোস্টার জনসমক্ষে আসতেই জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। পোস্টার কাণ্ডে বালির বিধায়ীকা বৈশালী ডালমিয়া বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে নিজের দলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি।

তিনি স্পষ্টতই বলেন এরা তো (তৃণমূল) দেশের প্রধানমন্ত্রী কেই বহিরাগত বলেন। জানেনই না প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের প্রধান। বাইরের রাজ্য থেকে কেউ এলে তাঁকে বহিরাগত বলা হচ্ছে। ভারতবর্ষ যে একটি দেশ সেটাই মানতে চায় না। যখন প্রধানমন্ত্রী কে বহিরাগত বলা হচ্ছে তখন আমি তো কোন ছাড়।