অবতক খবর,২ মার্চ,বাঁকুড়া:- বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী তিন পুরসভাতেই ভরাডুবি গেরুয়া ও বাম শিবিরের, সাংগঠনিক দূর্বলতাই ভরাডুবির কারণ বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও সুনামি ঝড়ে উড়ে গেল গেরুয়া ও লাল শিবির। সোনামুখীতে বামেরা ও বিষ্ণুপুরে বিজেপি খাতা খুলতে পারলেও বাঁকুড়া পুরসভাতে খাতাই খুলতে পারল না ওই দুই শিবির। সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর পুরসভায় নির্দল হিসাবে দাঁড়িয়ে তৃনমূল থেকে বহিস্কৃত হলেও জয় ছিনিয়ে নিলেন একাধিক বিক্ষুব্ধ তৃনমূল প্রার্থী।
গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি আসনেই বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল বিজেপি শিবির। বিধানসভা নির্বাচনে সেই সাফল্য ধরে রেখে জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে ৮ টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এই তিনটি শহর ভিত্তিক বিধানসভাও ছিল বিজেপির দখলে।
কিন্তু পুরসভা নির্বাচনে সবুজ ঝড়ে বাঁকুড়ার তিন পুরসভাতেই কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল বিজেপি। তিন পুরসভা মিলিয়ে শুধুমাত্র বিষ্ণুপুর পুরসভায় দুটি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি। সোনামুখী ও বাঁকুড়া পুরসভায় একটি আসনও পায়নি বিজেপি। একই ভাবে শুধুমাত্র সোনামুখী পুরসভায় দুটি আসনে জয় পেয়েছে সিপিএম। বিষ্ণুপুর ও বাঁকুড়া পুরসভায় খাতাই খুলতে পারেনি বাম শিবির। বরং সে তুলনায় বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই পুরসভাতে দলীয় টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রপ্তিদ্বন্দিতা করা বেশ কয়েকজন প্রার্থী ছিনিয়ে নিয়েছে জয়ের মালা। রাজনৈতিক মহলের ধারনা একদিকে লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা অন্যদিকে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তীতে বিরোধী শিবিরের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারনেই ওই তিন পুরসভায় ভরাডুবি ঘটেছে বাম ও গেরুয়া শিবিরের।