অবতক খবর,২৬ জুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু চুরির গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এখনো পর্যন্ত ১৭ জন মানুষকে গ্রেফতার করেছে বারাসাত পুলিশ। তার মধ্যেই বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো সেই শিশু চুরির গুজবই সত্য হলো।

বনগাঁ মাঝেরহাট লোকাল থেকে এক মহিলার ব্যাগ বন্দী অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ১১ মাসের শিশু। শিশু চুরির অভিযোগ যে রটনা নয় সত্যি ঘটনা তাই প্রমাণ হলো। প্রশ্ন উঠলো ফের একবার জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের চরম গাফিলতি ও দোষকে ধামা চাপা দেওয়ার। গণপিটুনি ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এখনো অনেক মানুষ জেল বন্দী।

যারফলে শিশু চুরির প্রতিবাদ মানুষ ভয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।আর সেই সুযোগ টা নিয়েছে শিশু পাচারকারীরা। প্রমাণ হলো আখেরে লাভ তাদেরই হয়েছে। শিশু অপহরণ ও পাচারের ক্ষেত্রে শিশু পাচার কারীদের পরোক্ষ ভাবে স্বর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।

আজ বুধবার 26/6/2024 তারিখ সকাল 8:51am বনগাঁ – মাঝেরহাট লোকাল ট্রেনের মধ্যে মহিলা কামড়ায় এক মহিলা একাটি বছর খানেকের একটা শিশুকে ব্যাগ বন্দি করে নিয়ে যাচ্ছিলো। হঠাৎ ব্যাগ থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে আসায় ট্রেনে থাকা সাধারণ যাত্রীদের সন্দেহ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী শিশুর পাচারকারী ওই মহিলা বামনগাছি থেকে ট্রেনে ওঠে। হৃদয়পুর স্টেশন পার করার পরেই বাচ্চাটি কেঁদে ওঠে।

একাধিকবার কান্নার শব্দ শুনেও ওই মহিলা কোনরকম পদক্ষেপ করছে না দেখে সাধারণ যাত্রীরা তার ব্যাগ দেখতে চায়। পাচারকারী মহিলা জানান ব্যাগে মুরগি আছে। ওটা মুরগির ডাক। আরো সন্দেহ হয় মহিলা যাত্রীদের। তখন মহিলা যাত্রীরা জোর করে তার ব্যাগ পরীক্ষা করতে যায়। ব্যাগের চেন খুলে দেখে তার মধ্যে একটি ১১ মাসের শিশু গরমে ঘেমে দম বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায়। শিশু পাচারকারী ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান তিনি এভাবেই শিশু নিয়ে যান।

অবশেষে বিরাটি স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ানোর পরে রেলওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় শিশুটিকে উদ্ধার করাহয়। সাথে সাথেই নিমতা থানার পুলিশ অফিসাররা খবর পেয়ে বিরাটি স্টেশনে আসে এবং মহিলাটিকে আটক করে রাখে। ইতিমধ্যেই উত্তেজিত জনতা মহিলাটিকে মারধর করার উদ্যোগ নেয় কিন্তু পুলিশি বাঁধায় গণপিটুনির হাত থেকে রক্ষা পান ওই শিশু পাচারকারী মহিলা।

পরে তাকে রেল পুলিশের অফিসে নিয়ে আসা হয়, এবং জিজ্ঞাসবাদ করে পুরো বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ ও আরপিএফ কর্মীদের নিরাপত্তায় বারাসাত জিআরপি থানায় নিয়ে আসে।