অবতক খবর,২৮ এপ্রিল: আজ কাঁচরাপাড়ার করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করলেন বীজপুর থানা প্রশাসন এবং পৌর প্রশাসন যুগ্মভাবে। এই দুই প্রশাসন আজ মণ্ডলবাজার ও মোতিবাজার সমিতির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
তারা কাঁচরাপাড়ার ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে আলোচনা করেন।
বর্তমানে লকডাউন পিরিয়ড চলছে এবং উত্তর ২৪ পরগণা জেলা হটস্পট জোন। সেই হিসেবে কাঁচরাপাড়া শহর উত্তর ২৪ পরগণা জেলার মধ্যে পড়ছে, এটা অনেকেই জানেন না এবং বোঝার চেষ্টা করছেন না। ইতিমধ্যেই এই কাঁচরাপাড়ার সন্নিকট অঞ্চলে করোনা সংক্রান্ত একটা আতঙ্ক নিশ্চিতভাবে সৃষ্টি হয়েছে। নৈহাটি, ভাটপাড়া অঞ্চল এবং হালিশহরকেও কেন্দ্র করে একটা করোনা ভীতি চলছে।
যাই হোক তারা আজকের বৈঠকে, বিশেষ করে মন্ডল বাজার এবং মোতি বাজারকে নিয়ে আলোচনা করেন। কারণ কাঁচরাপাড়া একটা ব্যবসায়িক কেন্দ্র। তার উল্লেখযোগ্য বাজার হচ্ছে মন্ডল বাজার এবং মোতি বাজার। বৈঠকে আলোচনা চলে যে,এই বাজার দুটিতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং বজায় রাখতে হবেই। যাতে কমিউনিটি কন্টাক্ট না হয়। সেইজন্য স্থির হয় যে, বাজারে ঢোকার যে বিভিন্ন প্রবেশ পথ রয়েছে সেগুলো বন্ধ করে দুটো পথ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। সেই পথ দিয়ে বাজারে প্রবেশ এবং বহির্গমন চলবে। এ ব্যাপারে তারা বাজার সমিতির সঙ্গে আলোচনা করছেন। প্রবেশ পথে বাজারে আগত ক্রেতা- বিক্রেতাদের স্যানিটাইজেশন করে ঢুকতে দেওয়া হবে। এই কাজে পৌরকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতা করবেন থানা প্রশাসন ও বাজার কমিটি।অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, জনস্বার্থে কাঁচরাপাড়ার পৌরপ্রশাসনের কাছে অবতক-এর পক্ষ থেকে মন্ডল বাজার এবং মোতি বাজারের দিকে লক্ষ্য রাখার কথা, প্রয়োজনে সিল করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেই বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব ও মান্যতা দিয়েছেন।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পৌর প্রধান সুদামা রায়, উপ পৌর প্রধান মাখন সিনহা, ইও তাপস মণ্ডল, সি আই সি অশোক মণ্ডল, থানা প্রশাসনের আই সি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ও বাজার কমিটির নেতূবৃন্দ।
যাই হোক, আমরা নির্দিষ্টভাবে বলছি, আমরা বারংবার পৌর প্রধানকে ও উপ পৌরপ্রধানকে এ ব্যাপারে সচেতন করেছি। তারা আজকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন,এটা শুভলক্ষণ।
যদি এই কাজটি করা হয় এবং নির্দিষ্টভাবে থানা প্রশাসন সক্রিয় হন, নিশ্চিতভাবে সেটা কাঁচরাপাড়া বাসীর কাছে মঙ্গলজনক।