অবতক খবর,২ ফেব্রুয়ারি: বাজেট শব্দটি ৭৫ বছর ধরে মানুষ শুনছে। ‌মানে ভারতীয় জনগণ। বাজেট শব্দটি ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ কতখানি বোঝে এখনো আমরা উপলব্ধি করতে পারিনি। বাজেট কাদের জন্য? এই মূল প্রশ্নটির জবাব পাওয়া যায় কি বা জবাব পাওয়া য়েছে কোনোদিন ভারতীয় বাজেটে?

ডিজিটাল মুদ্রা,কেপ্টোকারেন্সি কাদের লাগে? সাধারণ মানুষ এটা খায় না মাথায় দেয়, তা বোঝেও না আর এটা বোঝারও তাদের দরকার নেই।

শিক্ষা ডিজিটাল হবে, দ্রুত গতিতে অনলাইনের দিকে ঝুঁকছে। গুজরাটে হবে গিফ্ট অর্থাৎ গুজরাট ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স টেক সিটি। অনলাইনে সমস্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেওয়া হবে এখানে। শিক্ষা অনলাইনে হয়? কাদের স্বার্থে এটা করা হচ্ছে? প্রথম ক্ষেত্রেই ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সোজা বাংলায় ক্রমে ক্রমে স্কুলগুলি উঠে যাবে, স্কুল উঠে যাওয়া মানেই শিক্ষকতার চাকরি আর হবে না। সরকার দেশ জুড়ে অনলাইন শিক্ষার জন্য কত সংখ্যক চ্যানেল যেন তৈরি করছে, অর্থাৎ জাতীর উন্নতির যে মূল মেরুদন্ড শিক্ষা,নিশ্চিত ভেঙে পড়বে।

এই কেপ্টোকারেন্সি,ডিজিটাল মুদ্রা ক্রমে ক্রমে ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে যে ভেঙে দেবে তার সূচনা লগ্ন।

এই বাজেটের দিকে তাকিয়ে শ্রমিকরা তাদের জন্য কিছু খুঁজে পাচ্ছেনা। কৃষকরা তাদের জন্য কিছু খুঁজে পাচ্ছেনা। উপরন্তু কৃষকরা বলছে, তারা যে সুদীর্ঘ ঐতিহাসিক সংগ্ৰাম করেছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, এই বাজেটে রাষ্ট্র তার প্রতিশোধ নিয়েছে।

কর্মসংস্থান বেকারত্বের কথা অর্থাৎ ভারতীয় যুবক যুবতীর কথা কি ভেবেছে এই বাজেট? এর একটাই উত্তর,না। কথা দিয়েছিল, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, প্রতি বছর
দুকোটির চাকরি হবে। এবার বাজেট বলছে ৬০ লক্ষ চাকরি হবে পাঁচ বছরে। ১৩০ কোটির দেশ চাকরি হবে ৬০ লক্ষ। অবশ্য এই চাকরি না হলেও ক্ষতি নেই। কারণ বাজেট কথা দিয়েছে, কথা দিলে কথা রাখতে হবে, এর কোন মানে নেই। প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, প্রতিশ্রুতি দিলে সেটা রাখতে হবে, কোন মানে নেই। কারণ আমরা দেখেছি গীতা ছুঁয়ে সংবিধান ছুঁয়ে ওয়াদা করলেও সেই ওয়াদা শপথও রাখেনা রাষ্ট্র। ফলত এসব কথা শূণন্যে বিলীন হও।
ফলত অর্থসংস্থান পেটের দানাপানির সংস্থান যে বাজেটে নেই, সেই বাজেট কার জন্য? খুব সোজা মাথায় তা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন।

এই নিয়ে বড় বড় অর্থনীতিবিদরা বিশাল ব্যখ্যা দেবেন। বড় বড় কথা বলবেন,কারণ তারা অর্থনীতিবিদ তারা পন্ডিত। তাদের নিজেরও অর্থের সংস্থান রয়েছে। ফলত বিচার-বিশ্লেষণে তাদের কোন অসুবিধা নেই, যে যার পাণ্ডিত্য জাহির করবেন।

আর ভারতবর্ষের এই হাভাতে মানুষের দল হাপিত্যেশে ঘুরে বেড়াবে একটা চাকরির জন্য। পেটের দানাপানির জন্য। এই হচ্ছে এবারের বাজেটের সারমর্ম।