অবতক খবর,১১ মার্চ,নদীয়া:- সবুজ বিপ্লবের অনেকটাই সাফল্য এসেছে এ বাংলায়। দেশীয়, শংকর, এবং পরবর্তীতে হাইব্রিড চাষে ফলন বৃদ্ধি হয়ে বাজারের ঘাটতি অনেকটা মেটাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাতে সুদুরপ্রসারি ফল খারাপ ফল হচ্ছে এমনটাই মনে করছেন কৃষি বিজ্ঞানীরাও। কারন অনেকেই হরমোন কীটনাশক বা যে কোন সার ব্যবহারের সময় পরিমাণ এবং পদ্ধতি সঠিকভাবে না জেনেই ব্যবহারের ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। 2009- 10 সাল থেকে ইদানিং প্রায়শই বিভিন্ন ফলের বাগানের ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে কাল্টার চাষ।prclobutrazol একটি হরমোন যার বাণিজ্যিক নাম cultar.
আম কাঁঠাল জাম লিচু জামরুল এ ধরনের ফল গাছের মূল কাণ্ড কিছুটা অংশ ত্বকের ছাল ছাড়িয়ে তারমধ্যে হরমোন মিশ্রিত ঔষধ দিয়ে প্লাস্টিক দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয় ফুল বা মুকুল আসার একমাস আগে। তাতেই গাছের ডাল বটেই এমনকি কান্ড থেকে পর্যন্ত ফুল বেরোতে শুরু করে এবং ফল ধরে। ফলে লভ্যাংশ বৃদ্ধি পায় অনেকটাই। তবে এতে যে গাছের স্বাভাবিকত্ব হারায়, এবং ঔষধ প্রয়োগ না করলে কোনভাবেই আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। এমনকি পূর্ণ বয়স্ক গাছের গুড়ি চেরাই করলে কাঠের গুণগত মান কমে যায় অনেকটাই কোন কোন ক্ষেত্রে তা জল লাগলেই পৌঁছে যায়। তবে যে কৃষক নিজে হাতে গাছ লাগিয়েছেন, তিনি জেনে বুঝে কখনোই এ ধরনের ভুল করেন না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ইজারা নেওয়া মালিকরা এই অপকর্ম করে থাকেন বলেই জানা গেল কৃষকদের কাছ থেকে। এ ব্যাপারে রানাঘাট মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা অশোক শীঠ বলেন, পরিমাণ মতন হরমোন ব্যবহার না জেনে প্রয়োগ করলে গাছের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে, তবে কৃষকদের সাথে প্রায়শই আমরা বিভিন্ন আলোচনা করে থাকে তাদের কাছে অনুরোধ করব এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থেকে কৃষি বিজ্ঞানী অথবা সরকারি কৃষি দপ্তরের পরামর্শদাতাদের সাথে আলোচনা করে তবেই ব্যবহার করা উচিত।