অবতক খবর,১ সেপ্টেম্বরঃ বামেদের র্্যালি প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো আটকে রাখবে। কারণ এই ধরনের রেলি তারাই লোক পাঠাচ্ছে। সিপিআইএমের র‍্যালির পর কলা চুরি করে নিয়ে পালিয়ে গেল। তৃণমূলের লোকজন এসেছিল যারা কলা চুরি করতে অভ্যস্ত কলা চুরি করেছে ফল চুরি করেছে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বিজেপি প্রধান বিরোধী হওয়ার পর থেকে ভয়ে সমানে সিপিএমের রেলাতে লোক পাঠাতে শুরু করেছে। সিপিএমকে বাধা ও দিবেনা মারবেও না পুলিশ উল্টো বসে বসে মার খাবে সিপিএমের লোকেদের হাতে। বিজেপি মিছিলে ১৩ তারিখে দেখবেন পুলিশ পারলে কামান নিয়ে আসবে কামান দাগার জন্য।

১লা সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর রেলী প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন,মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এটা বরাবরই অভ্যাস অন্যের যে কৃতিত্ব সেই কৃতিত্ব চুরি করা। আপনারা সবাই জানেন যে ইউনিস্কোতে কোনদিনও একজন মুখ্যমন্ত্রী বা কোন রাজ্যের প্রধান ইউনেস্কোতে কোন কিছু পাঠাতে পারে না। এটা একজন বাঙালি গবেষক তার গবেষণার ফল কেন্দ্র সরকারের নজরে এবং গোচরে আসে এরপর কেন্দ্রীয় সরকার তাকে আমাদের তথ্য সংশোধন দপ্তর জরুরি মন্ত্রিত্ব আছে তার মাধ্যমে ইউনেস্কোতে যাই। ইউনেস্কো বাংলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপূজাকে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ঘটা করে পালন করে ভোটের ব্যবসা করার জন্য এবং কৃতিত্ব চুরি করার জন্য। এই কৃতিত্ব যদি থাকে যদি কাউকে দিতে হয় তাহলে সেই বাঙালি গবেষক গবেষণা করেছেন যিনি এই নিয়ে একটা দোসিয়ার তৈরি করেছেন কেন্দ্র সরকারকে। কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে পাঠিয়েছে তাকেই এই কৃতিত্ব দেওয়া উচিত।

জেল থেকে বেরোনোর সময় অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্য প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন পঞ্চায়েতের সময় অনুব্রত মণ্ডল ভেতরে থাকবে না বাইরে থাকবে সেটা আগামীদিনে বোঝা যাবে। তবে পঞ্চায়েতে ভারতীয় জনতা পার্টি কর্মী সমর্থকরা মাঠে নেমে লড়াই করবে অর্থাৎ ব্যাপক অর্থে লড়াই হবে।

ইডি আদালতে হলফনামা দিয়েছে অর্পিতর কাছ থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা পার্থর টাকা…

এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন আমরা প্রথম থেকে দাবি করে এসেছিলাম আমরা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে যারা এভাবে চাকরি বিক্রি করেছে মানুষ তা নিজের চোখে দেখতে পাচ্ছে, কি বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে কত সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। এখনো শেষ হয়নি। প্রসন্ন বলে একজন রয়েছে তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি সেটাও অনুমান করা হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের টাকা নাকি সেখানে খাটতো। সেই বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক‌ যুবতীদের বঞ্চিত করে এই চাকরিগুলিকে বিক্রি করা হয়েছে যারা গড়হিত অপরাধ করেছে। তাদের চরম থেকে চরমতম শাস্তির প্রয়োজন।

এদিন মালদার নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।