অবতক খবর,৩১ ডিসেম্বর: রাজ্যজুড়ে গেরুয়া প্রবাহ চলছে, তৃণমূল ও বিজেপি পরস্পরের দাপট দেখাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়, সঙ্গে চলছে রোড শো। বিজেপির উচ্চতম নেতারা দিল্লি থেকে ঘনঘন আসছেন। তার মানে তারা আসন্ন নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। এখানে নির্বাচনী ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে চাইছেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও শেষ পর্যন্ত ময়দানে নেমে পড়েছেন। তিনিও জনসংযোগ যাত্রা করছেন। বিজেপি যেমন আদিবাসী বাউল শিল্পীদের ঘরে খাওয়া-দাওয়া করে যোগাযোগ বাড়াতে চাইছেন,তেমনি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও খুন্তি নেড়ে রান্না দেখিয়ে জনসংযোগ করতে চাইছেন।

কিন্তু ব্যারাকপুর মহকুমায় এই বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এক গোষ্ঠী আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বলছে। দেখা যাচ্ছে যে পুরাতন গোষ্ঠী নব্য গোষ্ঠীর উপর অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। কারণ তারা পরিষ্কার বলতে চাইছেন,এই আদি বিজেপি অর্থাৎ আমরা দল তৈরি করেছিলাম। সেখানে নব্য বিজেপিরা প্রভাব বিস্তার করে কর্তৃত্ব বিস্তার করতে চাইছে। এদের বেশিরভাগই তৃণমূল থেকে আগত। ‌ফলত তারা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।

এদিকে বহুদিনের বিজেপি কর্মী উমা শঙ্কর সিংকে তাঁর জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ফলে এই বিক্ষোভ আরো গুরুতর পর্যায়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, উমাশঙ্কর সিং-এর একটিই দোষ যে তিনি যথার্থ বিজেপি কর্মী যারা অঞ্চলে পার্টিটাকে গড়ে তুলেছিলেন, তাদেরই সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছিলেন এবং নব্য বিজেপিদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখতে চাইছিলেন না, সাধারণ সদস্য হিসেবে রাখতে চাইছিলেন। রহস্যময় কারণে তাকে সরিয়ে আনা হয়েছে আইনজীবী রবিন ভট্টাচার্য্যকে। যদিও তিনি অঞ্চলে আইনজীবী হিসেবে সুপরিচিত। কিন্তু তিনি ছিলেন প্রকৃতপক্ষে তৃণমূল নেতা। একবছরও হয়নি তিনি বিজেপিতে এসেছেন এবং তিনি এক বছরের মধ্যেই সভাপতির পদ পেয়ে গিয়েছেন। সেক্ষেত্রে একজন পোড়-খাওয়া বিজেপি কর্মী সংগঠক উমাশংকর সিংকে সরিয়ে দেওয়া হলো এতে বিজেপি কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।

 

অনেক রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন বিজেপির এই দ্বন্দ্ব আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে। আদি বিজেপি যারা তারা বলছে বর্তমানে বিজেপি দলটি বিজেটিপি পার্টিতে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় জনতা তৃণমূল পার্টি।